নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ৪১তম আসরে প্রথমবারের মতো টায়ার-১ থেকে টায়ার-২ এ নেমে যায় যশোর। পরের বছরই দুর্দান্ত খেলে আবারও টায়ার-১ উঠে আসে যশোর। টায়ার-১ উঠে আসার পর ৪৩তম আসরের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরগুনাকে হারিয়ে দারুন শুরু করে। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় দিনাজপুরের কাছে হেরে যায় আমিনুর-রাজু-টিটোরা। শনিবার গোপালগঞ্জ ভেন্যুতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঠাকুরগাঁও কাছে বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ৮৬ রানে পরাজিত হয়েছে যশোর। এই হারের ফলে তারা প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে। শুধু বিদায় নয়। তারা এখন টায়ার-২ এ নেমে গিয়েছে বলে দলের বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা গেছে। যদিও আয়োজক কমিটি থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে যশোর শুধু জয় পেয়েছে একটি ম্যাচে। যশোরের মতো বরগুনা ও ঠাকুরগাঁও একটি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে যশোর পরাজিত দুই ম্যাচে হেরেছে বড় ব্যবধানে। নেট রান রেট খুব বেশি নিজেদের অনুকূলে নেই। এসব বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই ভেন্যুতে নেট রান রেটে একেবারে নিচের দিকে।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের এ ম্যাচে ঠাকুরগাঁও জেলা নয় উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করে। জবাব দিতে নেমে ৩২ ওভার পাঁচ বলে ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় যশোরের ইনিংস।
ব্যাট হাতে ঠাকুরগাঁও আবু হান্নান ৩৪, মিনহাজুল হাসান ৮৮, খন্দকার মারুফ হাসান ১২, ইকবাল হোসেন ৩৪ ও রাকিব হাসান করেন ২৮ রান। বল হাতে যশোরের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আশিকুল ইসলাম নিলয় নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। মেহেদী হাসান শিবলী ও হামিদুল হক হৃদয় নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
যশোরের ব্যাটিং ইনিংসে মিকাইল ৩৪, আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৭, হামিদুল হক হৃদয় অপরাজিত ২১ ও শামীম শরীফ করেন ১২ রান। বল হাতে ঠাকুরগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান নাসুম ও সুমন নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুশফিকুর রহমান, রাকিব হাসান ও লিয়ন ইসলাম।