ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম মহাতারকা মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এ পোস্টারবয়ের। অনেক বছর ধরেই জাতীয় দল থেকে দূরে আছেন তিনি। অবশেষে সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের সাবেক এ ক্রিকেটার। ঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় লিগের পরই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন আশরাফুল। এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলবেন লিটল মাস্টার। শেষবার তিনি জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ২০১৩ সালে। এরপর ফিক্সিংকাণ্ডে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন।
শাস্তি শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেতে থাকেন আশরাফুল। শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের শেষদিনে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছেড়ে তিনি মোহামেডানে যোগ দেন। এরপরই সংবাদমাধ্যমে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ ব্যাটার।
মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, এটাই আমার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেষ মৌসুম। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে সীমিত ওভারের ম্যাচ থেকে অবসরে যাচ্ছি। আর সামনে যে বিসিএল, এনসিএল আছে সেগুলো হবে লঙ্গার ভার্সনে আমার শেষ মৌসুম। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটের সব ধরনের জায়গা থেকে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
আরও পড়ুন:১৩২ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া
সাবেক এ টাইগার অধিনায়ক আরো বলেন, এবারই আমার শেষ করে দেয়ার ইচ্ছে। আমি চাচ্ছিলাম বড় দল থেকেই অবসর নিতে। যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকেই মোহামেডানের সমর্থক। মোহামেডান যখন শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৯ সালে, আমি সেই দলে খেলেছিলাম। চেষ্টা করব ভালো মতো শেষ করতে, আবার যেন আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়ে খেলব।
আশরাফুল বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রথম কোয়ালিফাইং খেলেছিলাম অংকুর ক্রিকেটার্সের হয়ে, এখন চলে ২০২৩ সাল। সবগুলো জেনারেশনের সঙ্গেই আমার খেলা হয়েছে। এটা আসলে অন্যরকম একটা ফিলিংস।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে আশরাফুল ১৮৩টি ম্যাচ খেলে ২১টি সেঞ্চুরি এবং ৪২টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৮.৬৩ গড়ে ৯ হাজার ১৯২ রান করেছেন। লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন ২৭৯টি। ১১ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফসেঞ্চুরিসহ ২৫.৪৪ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ১৫৮ রান।
এছাড়া জাতীয় দলের জার্সিতে ৬১ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরি, ৮ হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৪ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৭৩৭, ওয়ানডেতে ১৭৭ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ২০ হাফসেঞ্চুরিসহ ২২.২৩ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ৭৬৮ এবং ২৩ টি-টোয়েন্টিতে ২ হাফসেঞ্চুরিসহ ১৯.৫৬ গড়ে করেছেন ৪৫০ রান। বল হাতে সবমিলিয়ে ৩৩৫ উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে।
আরও পড়ুন:ভারতে অধিনায়কত্ব করে আনন্দ পান স্মিথ
