শাহারুল ইসলাম ফারদিন: ট্রেনের টিকিট পেতে ভোগান্তির অন্ত নেই। আর ঈদের সময় টিকিট হয়ে উঠে অনেকটা সোনার হরিণের মতো। রেলবিভাগ স্বশরীরে ৫০ শতাংশ এবং বাকি ৫০ শতাংশ অনলাইনে টিকিট বিক্রি করলেও ভোগান্তি চিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি। ঢাকা থেকে যশোর ফেরার জন্য যশোর স্টেশনের অনুকূলে একদিনের জন্য বরাদ্দকৃত ৩১০টি টিকিট ফুরিয়ে গেছে নিমিষেই। অনলাইনে ঢোকার আগেই শেষ হয়ে গেছে টিকিট। এনিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্যের ঝড় বইছে।
যশোর রেলস্টেশন মাস্টার আইনাল হাসান জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে যশোর ফিরতে যশোর স্টেশনের অনুকূলে বরাদ্দ সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ৮০টি, চিত্রায় ৮০ ও বেনাপোল এক্সপ্রেসে ১৫০টি টিকিট। ফেরার মতো যাওয়ার জন্যও একই আসন বরাদ্দ। ফেরার জন্য ৫০ শতাংশ টিকিট ঢাকার পাঁচটি কেন্দ্রে স্বশরীরে বিক্রি হচ্ছে। আর অর্ধেক টিকিট কাটা যাবে অনলাইনে। গতকাল ২৩ এপ্রিল ছাড়া হয় ২৭ এপ্রিল যশোর ফেরার টিকিট। আর যশোর থেকে ঢাকায় ফেরার টিকিট মিলবে ১ মে থেকে।
এদিকে যারা স্বশরীরে কিনতে গেছেন তাদের তো রীতিমতো যুদ্ধে নামার অবস্থা। আর অনলাইনে যারা কিনতে চেয়েছিলেন; তারা আরো বিড়ম্বনায়। অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করা অনেকেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দৈনিক কল্যাণকে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওমর ফারুক দৈনিক কল্যাণকে বলেন, সকাল থেকে ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করেই যাচ্ছি কিন্তু সাইটে প্রবেশ করতে পারিনি। যখন প্রবেশ করতে পারলাম, তখন দেখি টিকিট শেষ। এ যেন এক ভুতড়ে কারবার। তিনি আরো বলেন, ট্রেনের অনলাইন টিকিটে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অনলাইন টিকিটের দায়িত্ব সহজ নিয়ে কঠিন করে ফেলেছে।
ট্রেনের টিকিটের অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকে ক্ষোভ জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ট্রাই করতেছি! ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না! শুধু লেখা আসে ‘ইউ আর ভেরি ভেল্যুয়েবল টু আস’। এক ঘণ্টার চেষ্টায় যখন ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারলাম তখন দেখি টিকেট শেষ! ২৭ তারিখের ঢাকা-যশোরের কোনো টিকেট আর নেই!
যেখানে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না সেখানে টিকেট শেষ হয়ে যায় কীভাবে? প্রশ্ন করছেন অনেকেই।
তবে টিকিট কাটতে পেরে কেউ কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেসবুকে নিজের ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টা চেষ্টা করার পর টিকিট কাটতে পেরেছি। মোবাইল দিয়ে যখন লগইন করতে পারছিলাম না তখন ওয়াইফাই দিয়ে ডেক্সটপ দিয়ে ঢুকে টিকিট কেটেছি।