কামাল হোসেন, সাড়াতলা
যশোরের সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নে বিষধর সাপের কামড়ে প্রান্তি খাতুন (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মারা যাওয়া ওই শিশুটি নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রবাসী সোহাগ হোসেনের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তান।
শিশুটির মামা রাজু হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শিশু প্রান্তি খাতুন (৫) বাসায় আগত মেহমানদের সাথে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিল। এ অবস্থায় তার হাতে বিষধর সাপে কামড় দেয়। প্রান্তির আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় উপস্থিত সকলে কালকেউটে (কালচিতা) একটি বাচ্চা সাপ দেখতে পান। সাপটি ধরে একটি প্লাস্টিকের কৌটায় ভরা হয়। স্বজনরা সাপে কামড়ানো শিশুটির হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে সাথে সাথে সাপসহ স্থানীয় একটি ওঝা কবিরাজের নিকট নেয়। সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ঝাড়ফুঁক করা হয়। পরে ওঝা জানায় শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছে। ওঝার এমন কথা মতো শিশুটিকে নিজ বাড়িতে আনা হয়। কিছু সময় পরে শিশুটির পেটে প্রচ- ব্যাথা অনুভব হলে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু ও সাপসহ রাতেই প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর ও সর্বশেষ খুলনা শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে সাপে কেটে শিশুর এমন করুণ মৃত্যুর সংবাদ নিজ পরিবার ও এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এবং শিশুটির মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। এদিন বিকেলে আছর বাদ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে শিশুটিকে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে শার্শার ডিহি ও নিজামপুর ইউনিয়নে সাম্প্রতিক বিষধর সাপের কামড়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।