নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে একটি পরিবার। পরিবারটির কিস্তির বাকি টাকা মওকুফসহ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা আরএন রোড শাখা।
জানা গেছে, ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করেন মৃত সেলিম আজাদ। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারিতে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুবরণ তিনি। এর প্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে কিস্তির টাকা মওকুফসহ তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
শনিবার সকালে আরএন রোড শাখা ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত সেলিম আজাদের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজা যশোর এরিয়ার আরএসএম রিফাত হাসান খান, আরসিএম কেএম মনজুরুল ইসলাম, ডিজিটেক আরএসএম আজাদুল ইসলাম, প্লাজা ম্যানেজার কামরুজ্জামান এবং ডেপুটি ম্যানেজার বাবুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য ক্রেতার পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।
স্বামীর মৃত্যুতে অসহায়কালে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় আনন্দিত স্ত্রী তানিয়া সুলতানা। ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক কোম্পানিই কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করছে। কোনো কোম্পানি ক্রেতাকে এমন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এই অভাবনীয় কাজটি করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এখানেই ওয়ালটন সবার থেকে আলাদা। এভাবে ক্রেতাদের মনে জায়গা সৃষ্টি করে চলেছে ওয়ালটন প্লাজা। ওয়ালটন প্লাজার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।