নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন ভঙ্গ করে সাত মাসে ছয়বার ভারত ভ্রমণ করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসএ শাখায় সংযুক্ত তপন কুমার কুন্ডু। এর আগে তিনি শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউপি ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ভারতে অবস্থান করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তিনি ছয়বারে মোট ৪০ দিন ভারতে অবস্থান করেন সূত্রের দাবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জেলার মণিরামপুর উপজেলার সন্তোষ চন্দ্র কুন্ডুর ছেলে তপন কুমার কুন্ডু। তার ব্যবসায়িক পাসপোর্ট নম্বর: অ ০০৯৫২২০৬। তিনি ২০২২ সালের জুন মাসে ৫-১৪, জুলাইয়ে ৭-১৭, সেপ্টেম্বরে ১-৪, অক্টোবরে ২৪-৩০, নভেম্বরে ২০-২৩, সর্বশেষ ডিসেম্বরের ৩০ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত মোট ৪০ দিন সময় কাটান। একজন সরকারি চাকরিজীবী জিও লেটার সাপেক্ষে দেশের বাহিরে গমণ করতে পারেন। গত সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শার্শার একটি পত্র মোতাবেক জুন মাসের ৬-৭ তারিখ অভিযুক্ত তপন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধিমালা প্রতিপালন না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। ইতিপূর্বেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে গতবছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন জেলা প্রশাসক। তপন নিজেকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আর এস ১/১ খতিয়ানের জমিতে তথ্য গোপন করে গৃহহীণ পরিবারের সরকারি ঘর নির্মাণ করবে না মর্মে নিশ্চিন্তপুরের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আওরঙ্গজেবের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকার উৎকোচ গ্রহণ, নাম পত্তনের নামে পাকশিয়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে মহির উদ্দীনের নিকট থেকে নগদ অর্থ ও মূল দলিল নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ডিহি ও লক্ষণপুর ইউনিয়নে আর এস ১/১ খতিয়ানের জমি থাকায় এবং অফিস সহায়ক তপন ওই ভূমি অফিসে চাকরির সুবাদে অঢেল টাকার মালিক বনে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহায়ক তপন কুমার কুন্ডু বলেন, আমার সম্পর্কে যা জানার দরকার তা শার্শা অফিস থেকে জেনে নেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অফিস সহায়ক তপন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল তদন্ত চলছে। সব কিছুতো তার মধ্যে উঠে আসবে।