নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর আসার পথে ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রেশমা শারমিন (২৭) নামের এক নারী। তিনি পিত্রালয়ে যশোর শহরের শংকরপুর আসছিলেন।
রেশমা খাতুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামদানি গ্রামের মোহাম্মাদ রনির স্ত্রী এবং যশোর শংকরপুর টার্মিনাল এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিনের কন্যা। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ দম্পত্তি তিন সন্তানের জনক-জননী হলেন।
রেশমা খাতুন হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মা মনোয়ারা খাতুনের সাথে সন্তান প্রসবের জন্য শুক্রবার সকালে শ^শুর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোরে বাবার বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যে ট্রেনের দর্শনা স্টেশন পার হলে তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। একপর্যায়ে চলন্ত ট্রেনের ভিতরে তার সন্তান প্রসব হয়ে যায়। এ খবর আগেই পৌঁছে যায় যশোর রেলওয়ে স্টেশনে। এজন্য যশোর রেলওয়ের কর্মকর্তারা ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স রেডি রাখে। দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে নবজাতক ও প্রসূতি মাকে নিয়ে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার সাথে নবজাতক শিশুর কডসহ (সন্তানের নাড়ি) রেশমা খাতুনকে ভর্তি করে লেবার ওয়ার্ডে প্ররণ করা হয়। সেখানে সিনিয়র স্টাফ নার্স শিরিনা আক্তার সন্তানের নাড়ি কেটে দেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাবেয়া খাতুন জানান, রোগী ওয়ার্ডে আসার সাথে সাথে তাকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। পরে নবজাতক শিশু ও মায়ের বিশেষ পরিষ্কার করেন। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য রেশমার শরীরের দু’ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। বর্তমানে মা ও সন্তান দু’জন সুস্থ আছে।