মহব্বত আলী, চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধি: আগামী ২২ মার্চ যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সকল ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন শেষ করেছেন আহবায়ক কমিটির সদস্যরা। এবারের সম্মেলনে দু’টি প্যানেলে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন দু’টি প্যানেলের নেতাকর্মীরা।
আগামী ২২ মার্চ যশোর জেলা বিএনপির কার্যলয়ে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠিত হবে। আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসতে ইচ্ছুকরা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। দলীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে এবারের কমিটিতে সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব একটি প্যানেল ও সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইদ ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার মিজানুর রহমান দু’টি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে মাঠে নেমেছেন। সম্মেলনে ৯টি ওয়ার্ড কমিটির ৪৫৯ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি তৈরি করবেন। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন হওয়াই দারুণ খুশি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি এবার ত্যাগী সৎ যোগ্য ও শিক্ষিতরাই মূল্যায়িত হবেন।
আসন্ন কমিটির সভাপতি প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জানান, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়েই তার দীর্ঘদিনের পথ চলা। তার দাবি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সভাপতি হিসাবে তাকেই আবারো জয়ী করবেন। একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু তালেব জানান, দলের কঠিন দুঃসময়ে তিনি সাধারণ সম্পাদক থেকে সামনে থেকেই সকল দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থেকেছেন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী।
এদিকে অপর প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইদ জানান, বিগত দিনে দলের সবাইকে নিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। দলের সকল কর্মসূচি পালন করেছি সবাইকে সাথে নিয়েই। সকল হামলা মামলার ভয়কে উপেক্ষা করে মাঠে থেকেছি সব সময়ই। দলীয় নেকাকর্মীদের যেকোনো বিপদে সবার আগে ছুটে গিয়েছি। তাদের পাশে থেকেছি। এবারের সম্মেলনে তার পুরো প্যানেলই জয়ী হবেন বলে তিনি আশাবাদী। এই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, ইউনিয়নের যে সকল নেতাকর্মীরা সব চেয়ে বেশি হামলা মামলার শিকার তার ভিতর তিনিই সব চেয়ে বেশি হয়েছেন। তারপরও দলীয় সকল কর্মসূচি পালন করেছি চোখে পড়ার মত। তিনি আরো বলেন একটা দলের প্রধান হল দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আমি সব সময় তাদের সাথে নিয়েই চলি সব সময়। তার দাবি এবার তৃণমূল নতুন নেতৃত্বকে বেছে নেবেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবারের কমিটি গঠন হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। বিএনপি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলামের মতে এবারের কমিটিতে নতুন মুখ আসার সম্ভবনায় বেশি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, অধ্যাপক আবু সাইদ ও মাস্টার মিজানুর রহমানের প্যানেলে তারুণ্য নির্ভর হওয়াই তৃণমূল তাদের পক্ষেই রায় দেবেন। তবে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের চাওয়া এবারের কমিটিতে সৎ, যোগ্য, ত্যাগী ও শিক্ষিতরাই মূল্যায়িত হবেন।