ঢাকা অফিস
যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ এ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসময় পুলিশের টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে লং মার্চ শুরু হয়। শুরুতে তাতিবাজার মোড় এবং গুলিস্তানে পুলিশের ব্যারিকেড থাকলে তা অতিক্রম করে এগিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
গুলিস্তান হয়ে কাকরাইল এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে আহত হন ঢাকা পোস্ট ও বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন।
এদিকে পুলিশের বাধা পেয়ে বর্তমানে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, যতক্ষণ দাবি না মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আমাদের ৩ দফা দাবি, আমাদের যৌক্তিক দাবি। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিরে যাব না।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো;
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে বাস উল্টে আহত ৮

 
									 
					