নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গোল করে ও করিয়ে দলকে সেমিফাইনালে নিয়েছিলেন চৌগাছার বিদেশি খেলোয়াড় মেজো। এমন পারফরমান্সের পরও মেজোর প্রতি খুশি ছিলেন না কোচ আনোয়ার পারভেজ। ওই দিনের ম্যাচ শেষে এ প্রতিবেদককে সেমিফাইনালে স্ট্রাইকার পরিবর্তন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই সাথে চৌগাছার গোলকিপার শিহাবকে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত না করায় আফসোস করছিলেন। সেফিাইনালে জয়ের সাথে ঘুচেছে কোচের সেই আক্ষেপ। মঙ্গলবার শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয় পেয়েছে চৌগাছা উপজেলা। তারা ১-০ গোলে অভয়নগর উপজেলাকে পরাজিত করে। ম্যাচের ২০ মিনিটে একমাত্র গোলটি চৌগাছার নতুন বিদেশি খেলোয়াড় বোবো। তবে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন চৌগাছার গোলকিপার শিহাব। ২০ নভেম্বর ফাইনালে চৌগাছা খেলবে প্রথম সেমিফাইনালে বিজয়ী সদর উপজেলার সাথে।
এ ম্যাচে বেশ কয়েকবার বাউলের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রে করে রেফারির সাথে খেলোয়াড়রা বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ডাগ আউট থেকে কোচ খেলোয়াড়রা তাতে জড়িয়ে পড়েন। এজন্য চৌগাছার কোচ আনোয়ার পারভেজকে রেফারি জিল্লুর রহমান হলুদ দেন। এছাড়া একই দলের ম্যানেজারের নামাঙ্কিত টি শার্ট পরে একজনকে দেখা গেছে মাঠের বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করতে। তিনি যদি দলের ম্যানেজার হবেন তাহলে তাকে তাদের খেলোয়াড় টেন্টে অবস্থান করতে হবে। কিন্তু তা দেখা যায়নি। এছাড়া ধারাভাষ্যকাররা ম্যাচের ধারবিবরণী দেওয়ার কারণে রেফারি বাঁশি খুব বেশি শোনা যাচ্ছিল না। সব চাইতে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন দু’দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা। মাঠে মধ্যে থাকা খেলোয়াড়দের বাইরে থেকে যে দিকনিদের্শনা দিচ্ছিল তা খেলোয়াড়রা খুব বেশি শুনতে পাচ্ছিল না। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এছাড়া অযাচিত কিছু দর্শক মাঠের ভেতর থাকার কারণে অনেক সময় তথ্য সংগ্রহ করাটাও সাংবাদিকদের নিদৃষ্টস্থান থেকে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এদিন ম্যাচের প্রথম আক্রমনে যায় অভয়নগর উপজেলা। ম্যাচের ৫মিনিটে আরঙ্গজেবের ডান পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে যায়। পরে দুই একবার আরঙ্গজেবের চিরচেনা গতি দেখা যায়। তবে তা প্রতিপক্ষ চৌগাছার জন্য কোন বিপদের কারন হতে পারেনি।
তবে সময় যত গড়িয়েছে ততই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিয়েছে চৌগাছা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বোবোর ফ্রি কিক সরাসরি গোলকিপারের হাতে যায়। তবে চৌগাছাকে গোল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। চার মিনিট পর চৌগাছাকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন বোবো। চৌগাছা গোলকিপার শিহাবের দূর পাল্লার শট প্রতিপক্ষ অভয়নগরের ডি বক্সের একটু বাইরে পায় বোবো। সেই বল অভয়নগরের রক্ষনভাগের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় চৌগাছা। তবে অফসাইডের কারনে তা বাতিল করে রেফারি।
অভনগরের খেলোয়াড়রা একাধিকবার গোলের সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল আদায় করতে পারেনি। ফলে ম্যাচের ২০ মিনিটে বোবোর করা গোলটিই শেষ পর্যন্ত জয় নির্ধারণী গোলে পরিণত হয়।
