নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝিকরগাছার চাঁপাতলা গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী শম্পা খাতুন হত্যা ও ধর্ষণকারী অধরা থেকে গেল। সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যাকারীকে সনাক্ত করতে না পারায় আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক সুমন ভক্ত।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চাঁপাতলা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা মনোয়ারা বাকপ্রতিবন্ধি মেয়ে শম্পাকে ২০২২ সালের ৭ মার্চ গভীর রাতে মশারি পেচানো অবস্থায় খাটের নিচে পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির সদস্যরা তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলেও মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে এসআই আমির হোসাইন ঝিকরগাছা থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। শম্পা খাতুনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর অপমৃত্যু মামলার বাদী এসআই আমির হোসাইন বাদী হয়ে ওই বছরের ৪ জুলাই অজ্ঞাত আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যাকারী সনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে এ ঘটনার জড়িত কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হলে ও সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
