এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
যশোরের ঝিকরগাছায় সরকারের বেধে দেয়া দামে মিলছে না তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। সব দোকানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই সিলিন্ডার। কোথাও সরকার নির্ধারিত দামে মানুষ সিলিন্ডার পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ৩ জুলাই ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে ৯৯৯ টাকা। কিন্তু এই দামে কোথাও সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। দাম কমার ঘোষণার ১১ দিন পরও আগের দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে শুক্রবার ঝিকরগাছা বাজারে দেখা গেছে সকল প্রকার গ্যাস সিলিন্ডার সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অন্তত একশ’ টাকা বেশি দামে দোকানদাররা বিক্রি করছেন। ঝিকরগাছা রাজাপট্টি এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান, সকল প্রকার সিলিন্ডার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০-৬০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ঈদের পরে মাত্র দুই দিন মাল দিয়েছে। ১২ কেজির বসুন্ধরা সিলিন্ডার দাম পড়েছে হাজার ৬০ টাকা করে। তাহলে কত করে বিক্রি করব?
ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকার হাফিজ এন্টারপ্রাইজের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমরা কিনতে পারছিনা তারপরও দাম কমার সাথে সাথে ডিপো থেকে আগের মতো গ্যাস সিলিন্ডার আর সরবারাহ করছে না।
পৌর সদরের কৃষ্ণনগরের সম্মিলনী স্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, গত ১১দিন আগে সরকার দাম কমার ঘোষণা দিলেও এখনো আগের দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। অথচ, দাম বাড়ার মুহূর্তের মধ্যে বর্ধিত দামে মাল কিনতে হয়। আসলে এসব দেখার কেউ নেই।
সবুজ হোসেন নামে একজন বলেন, সরকার দাম কমার ঘোষণা দিয়েছে দু’সপ্তাহ আগে অথচ, ১১শ’ টাকায় আজ বসুন্ধরার গ্যাস সিলিন্ডার কিনলাম। তাও আবার দোকানদার বলল এটাই শেষ, আর কোম্পানি না দিলে পাওয়া যাবে না। সরকার দাম কমালে কোম্পানিরা কৃত্রিম সংকট করে দাম বাড়ার পাঁয়তারা করে বলেও মন্তব্য করেন সবুজ।
এ বিষয়ে ওমেরা কোম্পানির আঞ্চলিক সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ওমেরার ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডার ১ হাজার ৩০ টাকা পড়ে। কিভাবে ৯৯৯ টাকায় বিক্রি করবে, তাহলে লোকসান হবে। বিষয়টি সমন্বয় হওয়া উচিৎ।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। যদি কেউ সরকার নির্ধারিত দাম ছাড়া বেশি দামে বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।