নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামে আরিফা খাতুন সোমাকে (২৪) তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফা খাতুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আরিফা খাতুন সোমা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
শনিবার বিকেল ৩টায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষে অংশগ্রহণ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় গ্রামবাসীরা বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মানববন্ধনে বক্তারা, হত্যার সাথে জড়িতকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
১৪ বছর আগে আরিফা খাতুন সোমার সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের । তাদের ঘরে চাঁদ আলী নামে ৫ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামী ফরিদুল দুবাই প্রবাসী। গত ২ মাস আগে সে দেশে আসে। এরপরই স্ত্রী সোমার ওপর নির্যাতন চালানো শুরু করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নির্যাতন করে। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে ফরিদুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
আরিফা খাতুন সোমার বাবা নুর ইসলাম জানান, প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে প্রচ- মারধর করা হয়। মৃত্যুর পর তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে। তিনি মেয়েকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোল্লা তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।