নিজস্ব প্রতিবেদক
শহিদ তিন সাংবাদিকের স্মরণে প্রেসক্লাব যশোরের তিনটি মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। রোববার শহিদ পরিবারের সদস্যরা মিলনায়তন নামফলক উদ্বোধন করেন। মিলনায়তনগুলো হলো, শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদ মিলনায়তন, শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল মিলনায়তন ও শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল মিলনায়তন। প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহিদ সাংবাদিক সাইফুল আলম মুকুলের স্ত্রী হাফিজা শিরিন, শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই সাজেদ রহমান বকুল ও শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরএম কবিরুল আলম দিপু। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের মা খায়রুন্নেছাসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।
শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই সাজেদ রহমান বকুল বলেন, তিন সাংবাদিকদের নামে প্রেসক্লাব মিলনায়তনের নামকরণ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে। তাদের নাম মানুষের মাঝে উচ্চারিত হবে নিয়মিত। তারা নতুনভাবে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরএম কবিরুল আলম দিপু বলেন, তিন শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে তিনটি মিলনায়তন করায় তাদেরকে সম্মান জানানো হয়েছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শহিদ সাংবাদিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের স্ত্রী হাফিজা শিরিন বলেন, শহিদ সাংবাদিকদের হত্যার বিচার পাইনি। নতুন করে তাদের স্মরণে এই মিলনায়তন করা হলো। স্মরণের মধ্যদিয়েই তারা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেন, নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিন শহিদ সাংবাদিক স্মরণে মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এই মিলনায়তনগুলো আরও সমৃদ্ধ করা হবে। প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, তিন শহিদ সাংবাদিকের অবদান ও পরিচিতি তুলে ধরা হবে। যাতে যে কেউ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তাদেরকে স্মরণের মধ্যদিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রথিতযশা সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে জনকণ্ঠ যশোর অফিসে কর্মরত অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। দীর্ঘ ২৩ বছরেও যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যাকা-ের বিচার হয়নি। ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে দৈনিক রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসায় যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। ২৫ বছরেও চিহ্নিত হয়নি য সাইফুল আলম মুকুলের হত্যাকারী। আর দুঃসাহসী লেখালেখির কারণে সাংবাদিক গোলাম মাজেদ স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৪ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন।