নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনেরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি রীতিমত বুড়োআঙুল দেখালেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রথমধাপে অনুষ্ঠিতব্য কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ভাগ্নে জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও নিজের রাজনৈতিক প্রতিনিধি শিবলী নোমানীকে চেয়ারম্যান পদে দাঁড় করিয়েছেন। এ নিয়ে ঝিনাাইদহ জেলা ও উপজেলায় রাজনৈতিক মহল সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগ থেকেই চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে এলাকায় গণসংযোগ করতে থাকেন এমপি’র রাজনৈতিক প্রতিনিধি শিবলী নোমানী। তবে তফশিল ঘোষণার পর একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার জন্য এমপি তার ভাগ্নে সোহেলকে ডামি প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছেন। এমপির দুই নিকটজন প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যেও। তারা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী মাঠে পেশীশক্তি ও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্যই দলের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন বর্তমান এমপি।
এবিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে কোন প্রার্থী বা সংশ্লিষ্ট কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
