ঢাকা অফিস
দেশের পোলট্রি খাত ‘কর্পোরেট সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ধ্বংসের পথে’ যাওয়ার প্রতিবাদে প্রান্তিক খামারিরা আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে ডিম ও মুরগি উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা প্রান্তিক খামারিদের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) জানিয়েছে, খাতটি সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রায় ৫০–৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে রয়েছে, যার মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী এবং ৬০ শতাংশ শিক্ষিত বেকার যুবক।
বিপিএ অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পোলট্রির ফিড উৎপাদনের মূল কাঁচামাল যেমন সয়াবিন মিল, ভুট্টা, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন প্রিমিক্সের দাম তিন বছর ধরে কমলেও বাংলাদেশে এগুলোর দাম উল্টোভাবে বাড়ছে। কিছু কর্পোরেট সিন্ডিকেট একচেটিয়াভাবে ফিড বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ক্ষতির মুখে পড়ছে।
এই পরিস্থিতি থেকে খাতকে রক্ষা করার লক্ষ্যে বিপিএ সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে :
ফিড, বাচ্চা, মেডিসিন ও ভ্যাকসিনের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।
কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত, ন্যায্য ও স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনকে নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের বাজারে নিয়মিত অডিট ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ১০% লাভ যুক্ত করে ডিম ও মুরগির ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিতে হবে।
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্পোরেটপন্থী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিপিএ আশা করছে, সরকারের তৎপর পদক্ষেপে খাতটি ধ্বংসের পথে যেতে পারবে না এবং প্রান্তিক খামারিরা তাদের অধিকার ও কর্মসংস্থান রক্ষা করতে পারবে।

 
									 
					