নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামে মানবপাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে একই গ্রামের শিমুল পশখ নামের এক যুবকের জীবন বিপন্নের পথে। সৌদি আরব পাচারের শিকার শিমুল শেখ নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের জাফর শেখের ছেলে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিমুলের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে চক্রের দুই সদস্য বিছালী গ্রামের খায়রুল ইসলাম ও তার ভাই শরিফুল ইসলামকে আসামি করে নড়াইল মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) যশোরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণী সূত্র মতে, আসামিরা সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী, মানবপাচার অপরাধ সংগঠনে প্ররোচণাকারী, অবৈধভাবে আটক ও মুক্তিপণ আদায়কারী এবং প্রতারক চক্র। ওই চক্র বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরল সোজা লোকদের বিদেশে চাকরি ও ভিসা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ভুক্তভোগী শিমুল শেখকে সৌদি আরব পাঠিয়ে ড্রাইভার পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানব চক্রের ওই দুই সদস্য ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করে শিমুলকে চলতি বছরের ২৪ মে সৌদি আরব পাঠায়। শিমুল সৌদিআরবের রিয়াদ বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পর আসামি পক্ষের লোক রাজন নামে এক ব্যক্তি তাকে (শিমুল) রিসিভ করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিমুল অর্ধাহার-অনাহারে থাকার পর কাজ প্রদানের কথা বললে শিমুলের উপর অমানুসিকভাবে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। শিমুল গত ৭ জুলাই ঘটনাটি তার মা পারভীনকে জানায়। রাজন সৌদি আরব থেকে মোবাইলে বাদির মাকে বলে ছেলেকে বাঁচাতে হলে খায়রুল ও শরিফুলের কাছে আরও ৩লাখ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে মামলার বাদী পারভীন অভিযুক্ত খায়রুল ও তার ভাই শরিফুলের কাছে গিয়ে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা বললে তারা মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবি করে।এক পর্যায়ে বাদীকে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।পরবর্তীতে ঘটনা উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়েরের পর মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে যশোর পিবিআইকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বাদী অভিযোগে জানান, মামলা দায়েরের পর আমাকে ও স্বাক্ষীদের ওই চক্র নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। হুমকি প্রদানের পর বাদি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।#