নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার যশোর জেলা পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি যেন বরাদ্দ ছিল যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের। সর্বশেষ সাত আসরের পাঁচবারের শিরোপা জয়ী দলটি হেক্সা মিশনের জন্য শক্তিশালী দল গড়েছে। মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া প্রতিযোগিতার জন্য সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনও জেলার বয়স ভিত্তিক পর্যায়ের একাধিক ক্রিকেট নিয়ে দল গড়েছে। এই দুই দলের সাথে ফেভারিট তালিকা রয়েছে সর্বশেষ আসরের রানার্সআপ যশোর কালেক্টরেট স্কুল।
যদিও নিজের স্কুলকে ফেভারিটের তালিকায় রাখতে চাচ্ছে না কালেক্টরেট স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক এহসানুল হক সুমন। তিনি বলেন, গত পাঁচবছর ধরে আর্দিব জামান বর্ন, সাদমান খানসহ বেশ কিছু খেলোয়াড়কে একসাথে গড়ে তুলেছিলাম। গতবছর খেলার পর সকলেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে গেছে। এবছর আবার নতুন করে দল গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
শিক্ষা বোর্ড স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক তৌহিদুর রহমান বলেন, আমরা গত কয়েকবছরই চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয়ার মতো দল গড়ি। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মেধাবী ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের স্কুলে ভর্তি করায়। সাথে বহিরাগত কোটায় ৫জনকে দলে নিয়েছি। যাদের অধিকাংশ যশোরের বয়সভিত্তিক জেলা দলের খেলোয়াড়।
এ দিকে পাঁচ বছর প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেয়েছে যশোর মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী উচ্চ বিদ্যালয়।
মঙ্গলবার উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইনস্টিটিউট নিউটাউন। এবারের আসরে অংশ নেবে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দু’টি গ্রুপে বিভক্তি করা হয়েছে।
‘ক’ গ্রুপে রয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউট, ঈদগাহ, মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী হাই স্কুল ও বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউট, নিউটাউন।
‘খ’ গ্রুপে পড়েছে কালেক্টরেট স্কুল, যশোর, সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন, সরকারি জিলা স্কুল ও আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমি।
দুই গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিযোগিতার সব ম্যাচগুলোই হবে শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সকাল নয়টায়।
