নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ব্যতিক্রমী ‘শিশুদের পাঠচক্র’ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক। পাঠ্যবইয়ের বাইরে উন্নত সাহিত্য, চিরায়ত দর্শন এবং জ্ঞানের অবারিত প্রাঙ্গণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই যশোর কালেক্টরেট স্কুলে যাত্রা শুরু করলো শিশুদের এই পাঠচক্র। সপ্তাহে একটি বই পড়ি’র সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন পরিচালিত এই স্কুলটিতে সোমবার দুপুরে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। যশোর কালেক্টরেট স্কুল মিলনায়তনে ‘শিশুদের পাঠচক্র’ অধ্যয়নসভা দ্বিতীয় আবর্তনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
স্কুলের অধ্যক্ষ মো. মোদাচ্ছের হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক সমাজের কথা’র বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন। বক্তব্য দেন, সপ্তাহে একটি বই পড়ির প্রতিষ্ঠাতা সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ্জাহান কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন, অধ্যয়ন সভার সমন্বয়ক সুমন রেজা। অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন অধ্যয়নসভা দ্বিতীয় আবর্তনের নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সিনথিয়া জামান ফাল্গুনী ও অধ্যয়নসভা প্রথম আবর্তনের সদস্য দেবস্মিতা মৌলি এবং জান্নাতুল নাঈম নেহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সপ্তাহে একটি বই পড়ির সমন্বয়ক কামরুজ্জামান, অধ্যয়ন সভার সমন্বয়ক সুমন রেজা, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগামীর প্রযুক্তিগত বিশ্বে নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বই মানুষের চিত্তকে সমৃদ্ধ করে, মনের অন্ধকার দূর করে। মানবিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মানবদরদী ও কল্যাণকর চিন্তাচেতনা সমৃদ্ধ সুন্দর মানুষ হিসেবে সমাজের মঙ্গলে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।’ এরপর তিনি অধ্যয়নসভা দ্বিতীয় আবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং দ্বিতীয় আবর্তনের ৩৭ জন নবীন সদস্যের হাতে পাঠচক্রের প্রথম সপ্তাহে বই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ এবং ‘গাছ লাগান-তাপমাত্রা কমান-পরিবেশ বাঁচান’ প্রতিপাদ্য সামনে প্রত্যেকের হাতে পরিবেশবান্ধব একটি করে ফুলের টবসহ গাছ তুলে দেন। শেখ নিশাত নাজিয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে আদিতা আঞ্জুম, কৃষ্ণাদেব ভক্ত, আবৃত্তি করে সোহানি তাসনিম এবং নৃত্য পরিবেশন করে বিনীতা কুণ্ডু।
সপ্তাহে একটি বই পড়ির প্রতিষ্ঠাতা সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ্জাহান কবীর বলেন, এই অধ্যয়ন সভা শিশুদের পাঠচক্র বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র। বর্তমানে যখন ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনার গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ তখন শিশুদের নিয়ে অর্থাৎ স্কুলপড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এমন পাঠচক্র বাংলাদেশ বিরল।