নিজস্ব প্রতিবেদক, বেনাপোল
বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে প্রথমে যদি এদেশের কেউ বেঈমানি করে থাকেন তবে তিনি ছিলেন শেখ হাসিনা। আপনারা জানেন ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন প্রতিষ্ঠিত করলেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল। তিনি পার্লামেন্টে ঘোষণা করলেন দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল ছাড়া কিছুই থাকবে না। সেই বাকশালকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা তার পিতার গড়া বাকশালকে বিলুপ্তি ঘোষণা করে আবার আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করল। তাহলে বলতে হয় শেখ হাসিনাই তার পিতার সাথে প্রথম বেঈমানি করেছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার সময় বেনাপোলের দীঘিরপাড় ঈদগাহ ময়দানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় ৫ নং ওয়ার্ডের ঈদগাহ ময়দানে বেসরকারি টেলিভিশনে ত্রায়োদশ নির্বাচন উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ইন্টারভিউ দেন। ইন্টারভিউ শেষে উপস্থিত জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া জনগণের মাঝে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতাম। সেখান থেকে আমি ছাত্র দল থেকে রাজনীতি শুরু করি। এরপর আমি দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্বও নিষ্ঠার সাথে পালন করি। কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করায় আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না হয়েও অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এর উন্নয়ন করি। আমি এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়েদের সরকারি চাকরি দিতে সহযোগিতা করেছি। তার বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে একটি পয়সাও নেই নাই। আমরা সঠিক ভাবে বিগত ১৫ টি বছর রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। আমাদের খুন গুম করার সুযোগ খুঁজেছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকার। আমাকে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে ওই ফ্যাসিবাদি হাসিনা সরকার। আমি এমপি হলে আগে যারা নানা মামলা হামলার শিকার হয়েছে তাদের পাশে থাকবো। পতিত সরকার এর আমলে আমাদের এই সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। এটাও আগে রোধ করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদ, শার্শা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান, বেনাপোল পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান মির্জা, সদস্য সাইফুল ইসলাম, মফিজুর রহমান পিন্টুসহ স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

 
									 
					