প্রিয় পশ্চিমা তোমার গণতন্ত্র, মানবাধিকার,নিরেপক্ষতার
ঢোলের আওয়াজে –
বর্ণবাদ আজ নগ্ন নির্লজ্জ।
নীল চোখ, সাদা চামড়া, ইউরোপীয়ান –
কথা গুলো কত স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চারিত হচ্ছে,
হচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়ায়।
সাদরে আমন্ত্রিত হচ্ছে ইউক্রেনের শরনার্থীরা,
সরাসরি বলছেন এরা ইরাক লিবিয়া সিরিয়া নয়।
ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে
ছুটছে লাখ লাখ মানুষ,
ইউক্রেন সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর বর্ণবাদী আচরণ,
বেছে বেছে ইউক্রেনীয়দের পার করানোর অভিযোগ,
ভিনদেশিদের দাঁড় করিয়ে রাখা,নির্যাতন করা হচ্ছে।
পশ্চিমা পরাশক্তি আর তার মিডিয়া
যতই দমিয়ে রাখো
চারিদিকে নিভৃতে কাঁদছে যে কথা গুলো
ইউক্রেন করলে ‘আত্মরক্ষা’, ফিলিস্তিন হলে ‘সন্ত্রাস’!
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে
তুলকালাম শুরু হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।
রুশ বাহিনীর আগ্রাসী আচরণের নিন্দায় সরব
যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা।
মিডিয়াতে রীতিমতো ধুয়ে ফেলা হচ্ছে
ভ্লাদিমির পুতিন ও তার বাহিনীকে।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঝড় বইয়ে দিচ্ছে পশ্চিমারা। অথচ এরাই ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া যুদ্ধের ক্ষেত্রে চোখে যেন টিনের চশমা পরে থাকে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ আজ ‘ বীর মুক্তিকামী যোদ্ধা’।
রুশ আক্রমণ ঠেকাতে হাতে অস্ত্র তুলে নিলে
‘বীর মুক্তিকামী যোদ্ধা’,
অথচ ফিলিস্তিনের মানুষ হাতে গুলতি ওঠালেও
হয়ে যায় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’।
ইউক্রেন যুদ্ধ যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, পশ্চিমারা কতটা ‘হিপোক্রেট’।
এরদোয়ানও আঙুল তুললো
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতি –
অভিযুক্ত করলো নীতিগত বৈষম্যমূলক আচরণের দায়ে।
অনেক আক্ষেপ করে বললো –
তুরস্কসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রতিও
একইরকম সহানুভূতি দেখান।
ইইউ সদস্যদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন –
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রতিও দেখান একইরকম সহানুভূতি, হরহামেশাই আমরা হামলার শিকার হচ্ছি।
আরও বললেন –
জেলেনস্কি বুক চিতিয়ে কথায় বলায় বাহবা দিচ্ছেন,
কিন্তু আমরা যখন নিজ অধিকারের কথা বলতে যাই একই সম্মান পাই না।
পুতিন তুমি ইয়েলৎসিনের শিষ্য
জ্বি জজ ডাব্লিউ বুশের পরমবন্ধু
ইয়েলৎসিনের কথা বলছি।
সেই তুমি পুতিন –
পরলে ফাঁদে বিশ্ব মোড়লের।
গত ত্রিশ বছরে যেটুকু চর্বি জমিয়ে ছিলো তোমার দেশ
তা আবার হারাতে হবে তোমায়।
দাবার বড়ে জেলেনস্কি
বুঝলো না বিশ্বরাজনীতির ম্যারপ্যাচ
দেশটিই দিলো শেষ করে।
ভালো নেই মা আমাদের এই ধরা।
আমাদের লাগামহীন লালসার চাপে
আমাদের অফুরান আকাঙ্ক্ষার ফাঁদে
আমাদের চারপাশের পরিবেশ
দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার অবস্থা।
করোনা দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের
গৌরব বোধ করার কিছুই নেই,
তারপরও আমাদের বোধোদয় যে আজও হয়নি,
ধরার সাম্প্রতিক গতিবিধি মনে হয়
সে কথাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে,
ভালো নেই আমাদের এই ধরা।।