নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের ঐতিহ্যবাহী মণিহার প্রেক্ষাগৃহের ক্যান্টিন দখলচেষ্টায় হামলা ও খুন গুমের হুমকি দিয়েছে কামরুজ্জামান পলাশসহ ৩০/৪০ জনের সন্ত্রাসীরা। শনিবার দুপুরে এই ঘটনার পর হলের মালিক জিয়াউল ইসলাম মিঠু কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু ওই সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে জানা গেছে, এতিহ্যবাহী মণিহার প্রেক্ষাগৃহের ডিসি ক্যান্টিনটির ভাড়াটিয়া ছিলেন কামরুজ্জামানের বাবা। বাবার মৃত্যুর পরে কামরুজ্জানান নিজেই পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়। টাকার তাগাদা দিলে নানা তালবাহানা শুরু করে। এসব বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে মণিহারের এক কর্মীকে মারপিট করে। একপর্যায় ভাড়া না দিয়ে তারা মালামাল নিয়ে নিজেরাই সরে পরে। পরে মণিহার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আদালতে মামলা করেন। সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা মণিহারে এসে ডিসি ক্যান্টিনের জায়গা জোর করে দখলের চেষ্টা করে। হলের এমডিসহ অন্যরা প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি দেয়। এসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও চেচামেশি করতে থাকে। এরপরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনার পর এমডি জিয়াউল ইসলাম ও ব্যবস্থাপক মোল্লা ফারুখ আহম্মেদ, সিনিয়র স্টাফ আব্দুর রশিদ মিয়াজীসহ মণিহারের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কামরুজ্জামান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তিনতলার ডিসি ক্যান্টিন দখলের চেষ্টা করে তার প্রমান সিসি ফুটেজে উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেয়ে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
এই ব্যাপারে সিনেমা হলের মালিক জিয়াউল ইসলাম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ভাড়া না দিয়ে জোর করে দখলে রেখে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিল কামরুজ্জামান পলাশ।
