নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের সদর থানার রামনগর ইউনিয়নের রাজারহাট জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার বক্তব্য সংক্রান্ত একটি ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভিডিওতে এক মুখোশধারী ব্যক্তি আরবি ভাষায় জিহাদ সম্পর্কিত আলোচনা করছেন। তার পাশে কালো মুখোশ পরিহিত দুই ব্যক্তি অস্ত্রসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এটি দ্রুত ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ও আলোচনা করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত মাদ্রাসার সন্ধানে যান যশোরের সংবাদকর্মীরা। সেখানে গিয়ে প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করেন।
ওই মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা বলেন, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর মাদ্রাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। ১৭ ডিসেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান কীভাবে বক্তব্য রাখেন সেটা পরিবেশন করা হয়। তার বক্তব্যের সময় দু’পাশে যেভাবে অস্ত্রসহ পাহারা দেয়া হয় সেটাও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অংশ। আর অস্ত্র দুটো শোলা দিয়ে তৈরি ও রং করা।
অন্যদিকে, ভিডিওটি নজরে আসার পর যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই এবং এর পেছনে কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা তা উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি আমাদের নজরে আসছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যাচাই-বাচাই করেছি। এটি ওই মাদ্রাসার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানে হামাস নেতা কীভাবে বক্তব্য দেন সেটা তুলে ধরা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে বিভ্রান্তিকর বা উত্তেজক মন্তব্য এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা আরও বলেছেন, মাদ্রাসার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আর যে অস্ত্র দুটো দেখা গেছে সেটা শোলা দিয়ে তৈরি।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, আবার কেউ এটি বিভ্রান্তিমূলক বলেও উল্লেখ করেছেন।