নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ক্রিজে আসেন শাহারিয়ার সাকিব। ক্রিজে এসে থিতু হতে হতে ৩০ রানে আরো দুইজনকে হারায় যশোর। এরপর একপ্রান্তে আগলে রেখে নিজের অর্ধশতক তুলে নেয়ার সাথে দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বার প্রান্তে। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হন তখন যশোরের সংগ্রহ ১৪০ রান। সাকিব আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ১২ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারায় যশোর। শেষ পর্যন্ত অভিক ঘোষ বিল্টু ও দলীয় অধিনায়ক আমিনুরের দৃঢ়তায় জয় বঞ্চিত হয়নি শামসুদ্দিন শাহাজি নন্টুর শিষ্যরা।
৪২তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের টায়ার-২ এর প্রথম ম্যাচে নওগাঁকে ২ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে যশোর। ৪৭ ওভার ২ বলে নওগাঁর করা ১৫২ রান যশোর টপকে যায় ৪৩ ওভার ও ৮ উইকেট হারিয়ে।
নওগাঁর ১৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে যশোর। সেখান থেকে রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮০ রান করে সাকিব। ম্যাচের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। সাকিব ১২০ বলে ৪টি চার ও একটি ছয়ে ৬২ রান করেন। এরপাশে রিজওয়ান ৫০ বলে এক চারে ২৬রান করেন। দায়িত্বশীল এ ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় সাকিব। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় সাকিব বলেন, সামনে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। অনেকদিন স্কিল নিয়ে অনুশীলন করছিলাম। তবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা হয়নি। ডিপিএলের প্রস্তুতির জন্য আমার ইনিংসটি ভাল কাজে লাগবে।
নওগাঁর পক্ষে ইমরান মেহেদি ২৭ রানে ৩টি ও মোহামিনুল ২টি উইকেট দখল করেন। এর আগে টসে জিতে যশোরের অধিনায়ক আমিনুর রহমান নওগাঁকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৪৭ ওভার ২ বলে ১৫২ রান করে। ব্যাট হাতে মাফিল ইসলাম সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। এরপাশে সাকিব শাহারিয়ার ২৫, জাহিদুল ২৩ রান করেন। বল হাতে যশোরে পক্ষে শামীম শরীফ ২৪ রানে ৩টি, আমিনুর রহমান ১৪, টিপু সুলতান ৩৪ ও অরিদুল ইসলাম আকাশ ৩২ রানে ২টি করে উইটেক দখল করেন।