১৮ সড়কই চলাচলের জন্য উপযুক্ত
যশোর-খুলনা মহাসড়ক নির্মাণ চলমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর অঞ্চলের ৭টি জাতীয় সড়ক, ২টি আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ৯টি জেলা সড়কের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোই চলাচলের জন্য উপযোগী। এসব সড়কগুলোতে অন্তত ২১টি রুটে বাস চলাচল করে। এরমধ্যে যশোর-খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়া, ভাঙ্গাগেট এলাকায় সংস্কার কাজ চলমান। এছাড়া সব সড়ক-মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের বেগ পেতে হবে না।
জানতে চাইলে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোরাঞ্চলে ঈদযাত্রায় মানুষের কোন ভোগান্তি হবে না। যশোর-খুলনা সড়কে কিছু অংশ রাটিংয়ের সৃষ্টি হওয়াতে কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি ঈদের আগে শেষ হবে। কিছু কাজ শেষ না করা গেলেও সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হবে। যাতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে না পড়ে। আর যশোর-নড়াইল সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় গাড়ির চাপ থাকবে। এছাড়া অন্য মহাসড়কগুলোতে কোন সমস্যা নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।
সারাদেশের মতো ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকবে যশোরাঞ্চলেও। ফলে চাপ বাড়বে সড়কে। তবে পদ্মাসেতুর কারণে অল্প সময়েই ঢাকা থেকে যশোর পৌছে যাবে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষজন। সেক্ষেত্রে আশংকা হচ্ছে যশোর-নড়াইলের অপ্রশস্ত রাস্তা। ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু দিয়ে নড়াইল হয়ে যশোরে আসা পরিবহনগুলোকে অপ্রশস্ত রাস্তার কারণে ধীরগতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সদর উপজেলার তারাগঞ্জ বাজার এলাকার রাজু হোসেন বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কটি অপ্রশস্ত। একটি লেন হওয়ায় একটি গাড়ি অন্যটিকে ওভারটেক করতে পারেনা। এজন্য সব গাড়িই ধীরগতিতে চলাচল করে। ঈদে গাড়ির চাপ বাড়বে। এজন্য এই সড়কে যানজট সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, যশোর-খুলনা সড়কের যশোরের পালবাড়ি থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান উঁচুনিচু হয়ে আছে। বসুন্দিয়া, প্রেমবাগ, টেঙ্গুটিয়া, ভাঙ্গাগেট, উড়োতলা মোড়, রূপদিয়া, মুড়লী, পদ্মবিলা ও অভয়নগরের নওয়াপাড়া শহর এলাকার বিটুমিনের আস্তরণ উঠে অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক ও বাস চলছে হেলেদুলে। এক যানবাহন আরেক যানবাহনকে পাশ কাটাতে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়ছে। বছরের পর বছর সড়ক সংস্কারের ফলে সদরের বসুন্দিয়া, অভয়রের প্রেমবাগ, টেঙ্গুটিয়া, ভাঙ্গাগেট, নওয়াপাড়া শহর জুড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে দিনের বেশির ভাগ সময় থাকে যানবাহনের দখলে। বসুন্দিয়া থেকে নওয়াপাড়া শহরে পৌঁছাতে আধাঘণ্টার সময় লাগলেও যানজটের কারণে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে নাকাল হতে হয়ে যাত্রীদের। অনেক সময় পথচারীদের হেঁটে চলারও উপায় থাকে না।
নওয়াপাড়া বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী সুশান্ত সরকার বলেন, ধীরগতির উন্নয়ন কাজ, সিংহভাগ সড়ক দখল করে নির্মাণযজ্ঞ, সড়কের মধ্যেই নির্মাণ সামগ্রী রাখা, ধীরগতির কাজ, কয়েক স্থানে এক লেনের সড়কে অধিক যানবাহনের চাপেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অসহনীয় এ যানজটে নওয়াপাড়ার বিভিন্ন শিল্প কারখানায় সময়মতো পণ্য পরিবহনেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসগুলোর যাত্রীরাও সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। যদিও সওজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, যশোর খুলনা সড়কে ঈদের আগেই সংস্কার কাজ সমপন্ন করা হবে। শেষ করতে না পারলে কাজ বন্ধ রাখা হবে যাতে মানুষের যাত্রা পথে ভোগান্তি না হয়।
অন্যদিকে, যশোর-বেনাপোল, যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর ঝিনাইদহসহ অন্যান্য মহাসড়কে যাত্রীদের ভোগান্তির আশংকা নেই। আর যশোর-মণিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর সড়ক, যশোর-রাজগঞ্জ, যশোর-ছুটিপুর সড়ক, যশোর- চৌগাছা সড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করবে যাত্রীরা।