ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা ও মারপিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশে বাধাদান, মারপিট ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় সাত বছর পরে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আকমার হোসেন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম খোকন, তার চার ছেলে জনি, টনি, বনি ও রনি, মৃত ওসমান মোল্যার ছেলে মফিজুল ইসলাম, মৃত আশরাফ আলীর ছেলে তুহিন, ইলিযয়াস হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন, মফিজুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন, ইদ্রিস আলী শেখের ছেলে বাবলু মিয়া, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কবির হোসেন ও উজ্জত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম।
বাদী মামলায় বলেছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সেই নির্বাচনে বাদীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে হামিদপুর বাজারে অবস্থানকালে আসামিরা বাদীসহ তার দলীয় লোকজনরে উপর হামলা করে। লিফলেট ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে। প্রতিবাদ করলে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিএনপির কয়েকজন সমর্থকের দোকানপাট ভাংচুর করে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে হামিদপুর মঞ্জুর রশিদের বাড়ির সামনে দিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার পরে ভোট প্রদানে বাধাদান করে। গালিগালাজ ও মারপিট করে। এরপরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে আসামিরা সকলেই বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এক লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে মারপিট করে। বাধ্য হয়ে তাদের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ওই সময় রেহাই পান। বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য বাদীকে খুনখারাবির ভয় দেখায়। ওই সময় আসামিদের প্রভাবে মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে থানায় গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলাটি করেছেন।