নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে এনজিও’র মালিক জিল্লুর রহমানের উপর ‘হামলাকারী’ আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার তাকে আটক করা হয়। একইদিনে অন্য ৪ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
আটক আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার সরদার বাগডাঙ্গা গ্রামের নাছির মোড়লেল ছেলে। একই মামলায় আত্মসমর্পণকারীরা হলো, আব্দুলপুর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে শাহিন, জহর আলীর দুই ছেলে কামাল হোসেন ও আবুল কালাম।
বাদী সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার বিপ্লব রহমান মামলায় বলেছেন, তার ভাই জিল্লুর রহমানের এনজিও আছে। আব্দুলপুর বাজারে ওই এনজিও অফিস রয়েছে। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। সম্প্রতি আবারও ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। রাজি না হওয়ায় হত্যাসহ নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জিল্লুর রহমান আব্দুলপুর বাজারে অবস্থানকালে ওই সন্ত্রাসলা সেখানে আসে। এরপর তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় জিল্লুর রহমানকে লোহার রড, হাতুড়ি, কাঠের ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে জিল্লুর রহমানের কাছে থাকা এক লাখ ১৫ হাজার টাকা ও দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার ৩০ ডিসেম্বর রাতে কোতোয়ালি থানায় ওই ৬জনসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সেলিম হোসেন শনিবার গভীর রাতে আসামি আলমগীর হোসেনকে বাড়ি থেকে আটকের পর রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। একইদিনে এই মামলার অন্য ৪ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।