নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেনারেল হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহকালে সময় টিভির সাংবাদিক জুয়েল মৃধা ও ক্যামেরাম্যান আবুল কালাম আজাদের উপর পুলিশ হামলা ও ক্যামেরা ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশের দুই সদস্যকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দুই সদস্যকে ক্লোজড করে নিয়ে যান এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সময় টিভির যশোরের স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল মৃধা জানান, বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত দুই বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি সংগ্রহ করতে হাসপাতালে যান। এসময় আহত ওই দুই ব্যক্তির ছবি নিতে গেলে পুলিশ সদস্য হাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলাম তাতে বাঁধা দেন। এমনকি ক্যামেরাম্যান আবুল কালাম আজাদকে গলা টিপে দেয়ালে ঠেসে ধরেন। ঠেকাতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য সাংবাদিকদের গ্রেফতারেরও হুমকি দেন। এ খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান যশোর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, সাংবাদিকদের উপরে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সমাজ। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান তারা।
প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।
ঘটনার পর যশোর ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রূপন কুমার সরকারসহ পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেসক্লাব যশোরে আসেন। তারা জুয়েল মৃধা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমানসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন এবং দুঃখ প্রকাশ ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নেয়া হবে বলে জানান।