নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হাসান হত্যা মামলার আরো দুই আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ২৭ মার্চ রাতে র্যাব যশোর ক্যাম্প ও ঢাকার উত্তরার যৌথ অভিযানে ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই হত্যা মামলার আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান রাজন ও ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-নবীনগর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে রাজু আহম্মেদ রাজু।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বায়েজিদ হাসান নামে এক ইঞ্জিনিয়ার যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদের ঢাকাস্থ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নির্মিত বিল্ডিংয়ের কাজ করতেন। ৫ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে মুল্লুক চাঁদ ও তার ভাই সঞ্জয় চৌধুরী বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর তারই অংশ হিসেবে গত ২৪ মার্চ রাতে খুলনার মটর শ্রমিক নেতা বিপ্লবের মাধ্যমে ধরে যশোরে নিয়ে আসা হয়। ওই রাতেই মুল্লুক চাঁদের উপস্থিতিতে বায়েজিদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের মা দিলরুবা বেগম কোতোয়ালি থানায় মুল্লুক চাঁদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলার আসামি হাফিজুর রহমান খোকাকে গ্রেপ্তার করে। ২৭ মার্চ আদালতে হাজির করা হলে খোকা এই হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। এসময় তাদের সহযোগী অন্য সকলের নাম প্রকাশ করেন। এরপরই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেয় র্যাব যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। এরই মধ্যে আসামি আব্দুর রহমান রাজন ও রাজু আহম্মেদ রাজুর অবস্থান জানতে পারে র্যাব। পরে যশোরের র্যাব এবং ঢাকা উত্তরা র্যাবের যৌথ অভিযানে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।