নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে সার ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ সদরের চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম রেজা (৪০), তার অনুসারী ভাতুড়িয়ার আব্দুল গফফার (৪০), তফসীডাঙ্গার মামুন হোসেন (৪৫) ও আজিজুল ইসলামকে (৪৫) অভিযুক্ত করে যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী ওই ইউনিয়নের তফসীডাঙ্গা ঘোষ পাড়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৬২)। তার চাঁচড়া পুলেরহাট বাজারে রহিম ট্রেডার্স নামে একটি সার ও কীটনাশকের দোকান আছে।
মামলার বিবরণ মতে, পূর্ব শত্রুতার জেরে চেয়ারম্যানের অনুসারি অভিযুক্ত গফফার দোকানদার আব্দুল্লাহ’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অচেনা এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। এরপর আব্দুল্লাহ’র দোকান থেকে কীটনাশক ক্রয় করে তার (গফফার) পুকুরে প্রয়োগ করার কারণে মাছ মারা গেছে। এতে তার অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে। এরজন্য তাকে পাঁচলক্ষ টাকা দিতে হবে। এর পরপরই চেয়ারম্যানের আর এক অনুসারী অভিযুক্ত মামুন আব্দুল্লাহ’কে ডেকে তার পুলেরহাট বাজারস্থ অফিস নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখায়ে জিম্মি করে রাখে ও টাকা না দিয়ে যেতে পারবে না বলে শক্তি প্রয়োগ করেন। তখন গফফার কোন উপায় পেয়ে তার দোকানের ম্যানেজার আলামিনকে (২৫) ডেকে আইএফআইসি ব্যাংকের (যার হিসাব নং-২০০৩৪৯৮৮২৮১৫) পুলেরহাট শাখার দুই চেকের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে এনে তাদের কাছে দিয়ে রক্ষা পায়। এসময় ঘটনাস্থলে চেয়ারম্যান শামীম রেজা, আব্দুল গফফার, মামুন ও আজিজুল উপস্থিত ছিলেন এবং ওই টাকা গফফার বুঝে নেয়। এই সময় ওই অফিস কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরা চেয়ারম্যান শামীম রেজার নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এঘটনা বিষয়ে জানতে যশোর কোতোয়ালি থানায় গেলে আটক তিনজনের থানা হাজতে দেখা যায়। তবে সেসময় ওসি তাজুল ইসলাম থানায় না থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। পরে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ করেনি। রাত ৯ টার পরে ফোন দিলে ওসি থানায় দেখা করতে বলেন।