নিজস্ব প্রতিবেদক
আবারও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির পুনর্গঠনের গঠন করা হয়েছে। অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও অ্যাথলেট কোচ নিবাস হালদারকে বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে ক্রীড়া সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও ক্রীড়া সংগঠক কাজী এনাম আহমেদকে। কাজী এনাম আহমেদ যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের ভাই ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক।
১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য একজনের পরিবর্তে নতুন একজনকে যুক্ত করে ৯ সদস্য অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন করেছেন।
স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসারে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুইজন সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ১১ সেপ্টেম্বর অনুমোদন হলেও রোববার (১৪ সেপ্টম্বর) দুপুরের দিকে জেলার ক্রীড়া সংগঠকরা জানতে পারেন। এরপর থেকে যশোর ক্রীড়া সংগঠকদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনা জন্ম দিয়েছে। তাদের মতে আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে ভোটার হওয়ার জন্য তিনি অ্যাডহক কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্প্রতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্যের বাইরে কেউ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি হতে পারবেন না বলে নীতিমালা করেছে।
সর্বশেষ দুই নির্বাচনে কাজী এনাম আহমেদ যশোরের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর যশোরের ক্রীড়া সংগঠকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছাড়া কোনদিন তাকে যশোরে পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য ক্রীড়া সংগঠকরা।
যশোর ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহাতাব নাসির পলাশ বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি এখন একটা ঠুনকো বিষয় হয়ে গিয়েছে। যখন যে কেউ চাইলে যুক্ত হচ্ছে। এর আগে দুই সদস্য কোন মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে তা জানতে পারেনি।
আর নতুন যিনি যুক্ত হয়েছেন তিনি যশোরের কোন সংগঠকই না। ‘ক্ষমতার’ বলে তিনি এখানে যুক্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সাবেক এ ক্রিকেটার। এর আগে তিনি যশোরের একজন সংগঠকের ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হয়েছেন। গত দশ বছরে তাকে যশোরে কখনো পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শুধুমাত্র ক্রীড়া সংগঠকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনি যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে কোন অবদানই রাখেনি। এমনিতেই যশোরে ক্রীড়াঙ্গনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আবার উনার মতো অদক্ষ সংগঠক এখানে যুক্ত হওয়ার পর আরও নাজুক হয়ে পড়বে।
এদিকে অ্যাডহক কমিটি থেকে বাদ পড়া নিবাস হালদার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, আমি ক্রীড়াঙ্গনের লোক। দীর্ধদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনে সাথে যুক্ত রয়েছি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে না থাকলেও আমি ক্রীড়াঙ্গনের সাথে যুক্ত থাকবো।
