মাংস ও দুধ উৎপাদনে সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃতকরণ প্রকল্প
সুনীল ঘোষ: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, মাংস ও ডিমে ঘাটতি নেই। বহুমুখি প্রকল্প চলমান থাকায় আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এখন দুধের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার অংশ হিসেবে সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃতকরণের প্রকল্পের আবর্তক তহবিল থেকে যশোর ও মেহেরপুরে ৪ হাজার ২০০ জনকে বকনা ও ষাঁড় বাছুর ক্রয়ে ঋণ দেয়া হবে। এই প্রকল্পে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে উল্লেখ তিনি বলেন, এর ফলে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় যশোর সার্কিট হাউসে প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যশোর জেলা সমবায় কর্মকর্তা এসএম মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম-নিবন্ধক মিজানুর রহমান। এ সময় খুলনা বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা, খামারি ও প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কাজ করছে। গ্রামের মানুষকে নূন্যতম আয়ের মধ্যে আনতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন-দুধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রকল্পের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সজাগ ও সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন- এই টাকায় মধ্যস্বত্তভোগীরা যাতে ভাগ বসাতে না পারে সেদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কড়া নজরদারী রাখতে হবে।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যশোর জেলার ২ হাজার ৫০০ জন এবং মেহেরপুরে ১ হাজার ৭০০ জনকে বকনা ও ষাঁড় বাছুর ক্রয়ের জন্য ঋণ পাবেন। প্রত্যেকে পাবেন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণ। এই টাকার মধ্যে ৮০ হাজারে দুটি ষাঁড় অথবা একটি ভালো জাতের বকনা বাছুর কিনতে হবে। বাকি ২৫ হাজার টাকা পশুর খাদ্য ক্রয়ে ব্যয় করা যাবে। চেক বিতরণের ১০ দিনের মধ্যে পশু ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। সুবিধাভোগীদের অঞ্চল ভিত্তিতে গ্রুপ নির্ধারণ করা, পশুর তথ্য সম্বলিত ফরম নির্ধারণ ও বাছুর ক্রয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। যাতে করে কেউ পশু ক্রয়ের টাকা অন্যথায় খরচ করতে না পারে। সুবিধাভোগীদের মাঝে খুব দ্রুত এই ঋণের টাকা বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।