নিজস্ব প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসানের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মনোনয়ন জমাদানের আগে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত শহরের কারবালা কবরস্থানে গিয়ে তাঁর প্রয়াত পিতা, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি কারবালা জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন।

মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম ও জুলাই যোদ্ধা এনাম সিদ্দিকীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন জমা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন,
“মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বিএনপির মনোনয়নে যশোর-৩ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই যোদ্ধা, ওলামা-মাশায়েখ এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছি। আমার প্রতি আস্থা রাখায় দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে বিএনপি অতীতের মতোই প্রস্তুত রয়েছে। আমরা ইতিবাচকভাবে সামনে এগোতে চাই। আশা করি বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে।”
ভোটারদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
“দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ফলে ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে প্রচার-প্রচারণা যত বাড়বে এবং প্রার্থীরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে, ততই ভোটারদের এই শঙ্কা কেটে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।”
যশোরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন,
“আপনারাই আমার অভিভাবক, আমি আপনাদের সন্তান। ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে আমি সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যশোরবাসীর পাশে থাকতে চাই।”
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যশোর কালেক্টরেট চত্বরে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু, সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, অ্যাডভোকেট হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান, জেলা লৌহ ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সাইফুদ্দৌলা, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ, সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
