ক্রীড়া ডেস্ক
ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আবারও বিতর্কে জড়াল ডিউকস বল। বল দ্রুত নরম হয়ে যাওয়া ও সুইং না করার অভিযোগে ম্যাচের প্রথম সেশনের ৯০ মিনিটের মধ্যেই দুইবার বল পরিবর্তনের অনুরোধ জানায় ভারতীয় দল। বিষয়টি নিয়ে মাঠে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
লর্ডস টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আগের দিনের নতুন বল নিয়েই খেলতে নামে ভারত। শুরুতেই তিনটি উইকেট তুলে নেয় বুমরাহ-সিরাজরা। কিন্তু এর মাঝেই ভারতীয় খেলোয়াড়রা বলের আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলে আম্পায়াররা বল পরীক্ষা করে নতুন বল আনেন। তবে নতুন বলটি নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়—বলটি দেখে মনে হয় সেটি অন্তত ২০ ওভার পুরোনো। সুনীল গাভাসকর টিভি ধারাভাষ্যে বলটির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানান।
এরপর ৯৫তম ওভারের আগে আবারও নতুন করে বল বদলের দাবি জানান ভারতীয় অধিনায়ক শুবমান গিল।বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা শুরুতে রাজি না হলেও, ৯৯তম ওভারের চার বল পর আবারও বলটি পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় বলটি ‘রিং টেস্ট’ পাশ করতে পারছে না, ফলে দ্বিতীয়বারের মতো বল বদল করা হয়।
দুই ঘণ্টার মধ্যে দুটি বল বদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাবেক ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট এক্স-এ লিখেছেন, “একটি বলকে উইকেটকিপারের মতো হওয়া উচিত – যেন কেউ বুঝতেই না পারে সে আছে। এখন তো প্রায় প্রতি ইনিংসেই বল বদল হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ডিউকস বলের সমস্যা আছে, দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।”
গত দুটি টেস্টেই ভারত ও ইংল্যান্ড উভয় দলের পেসাররা ডিউকস বল নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, বল পুরোনো হয়ে পড়ছে খুব দ্রুত, সুইংও করছে না আগের মতো। এই সমস্যা যদি চলতেই থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে ডিউকস বল ব্যবহারে বড় প্রশ্ন উঠতে পারে।