নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ বছর পর শার্শা উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের শহিদ আলী হত্যার আওয়ামী লীগের আট নেতাকর্মীর নামে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী এই ঘটনায় থানায় আর কোন মামলা আছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শার্শা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মাধবেন্দ্র অধিকারী।
আসামিরা হলেন, শার্শা উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের শামসুদ্দিন মোড়লের ছেলে মতিয়ার রহমান, আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল গফুর, আব্দুুল্লাহর ছেলে আব্দুস সাত্তার, মৃত উসমান মোড়লের দুই ছেলে জামাল উদ্দিন ও সালাউদ্দিন, নুজুর আলীর দুই ছেলে মাহাবুর রহমান ও নাজিম উদ্দিন এবং মৃত লাল চান লালুর ছেলে রওশন আলী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত শহিদ আলী বিএনপির কর্মী ছিলেন। আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রাজনৈতিক ভাবে শহিদ আলীর সাথে আসামিদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আসামিরা শহিদ আলীকে খুন-জখম করবে বলে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ৩ মে শহিদ আলীর একটি ছাগল মাহাবুবের ক্ষেতের ফসল খায়। এরই জের ধরে আসামিরা এদিন বিকেলে শহিদ আলীর বাড়িতে হামলা বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় শহিদ আলী বিছালী গাদার ভিতর পালালে তাকে ধরে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। আসামিদের ভয়ে গুরুতর আহত শহিদ আলীকে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়নি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। দুইদিন পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সকলের অগচোরে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শহিদ আলীকে বাড়ি নিয়ে গেলে আস্তে আস্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শহিদ আলীকে যশোর শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিকৎসা শেষে বাড়িতে নেওয়া হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। ওই সময় হুমকির কারণে মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে আশায় তিনি আদালতে মামলাটি করেছেন।