নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগে মেয়ের জামাই ও তার পিতা-মাতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল ৪ জুলাই বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের লাল মোহাম্মদ ভুলু, তার স্ত্রী বানু সুলতানা, ছেলে রানা হামিদ পিন্টু ও মেয়ে পিংকি।
যশোর শহরের বকচর বিহারী কলোনীর মরিয়ম খাতুন মামলায় উল্লেখ করেছেন, রানা হামিদ পিন্টুর সাথে তার মেয়ে ফাতেমা জাহান সুইটিকে এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। দাম্পত্যকালে ফাতেমা জাহান সুইটি বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্বা। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকে টাকা যৌতুক হিসেবে নিয়েছে রানা হামিদ পিন্টু। সম্প্রতি আবারও মোটা অংকে টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করছে রানা হামিদ পিন্টু। কিন্তু পিতার অভাব অনাটনের সংসারে আবারও যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করছে জামাতা রানা হামিদ পিন্টু ও তার পরিবার। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৮ জুন জামাই ও তার পিতা-মাতা বোনসহ সকলকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনেছেন তিনি। ওইদিন দপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে মরিয়ম এক আত্মীয় অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে মেয়েকে নিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে যান। এই সুযোগে ঘরে থাকা এক লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে চলে যায় জামাতাসহ অন্য আসামিরা। বিকেলে বাড়িতে এসে না পেয়ে জামাতা রানা হামিদকে মোবাইল করে টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ তিন লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চায় মরিয়ম খাতুন। এসময় জামাতা তাকে বলেছে প্রয়োজন হওয়ায় টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়া হয়েছে। এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে খুন করে লাশ গুম করা হবে।