এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ সব খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সব মালামালের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ক্রেতারা বাজারে যেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছে। যে খরিদদার ১ কেজি ক্রয় করত সে এখন ২৫০ গ্রাম ক্রয় করছে এমন চিত্র দেখা গেছে। বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের মাধব সরকার বলেন, ৯০ টাকার সোয়াবিন তেল এখন ২০০ টাকা, ৬০ টাকার মুশুরী ডাল ১৩০ টাকা হয়েছে। আয় তো বাড়েনি তাহলে অতিরিক্ত টাকা পাবো কোথায়। ফলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে কম খেয়ে তা পুষিয়ে নিতে হচ্ছে।
কাশিমাড়ী গ্রামের বাজারে আসা মজিদ মাঝি বলেন, চালের মূল্যে এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগে ৫ কেজি চাল কিনতাম। এখন সেই চালের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। কোন রকম আধা পেট খেয়ে জীবন ধারণ করছি।
নুরনগর বাজারে মাংস ক্রেতা সাহাবুদ্দিন বলেন, সংসারে ৫ জন সদস্য কমপক্ষে ১ কেজি মাংস দরকার। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সে দামে ২৫০ গ্রামে হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের বায়না মেটাতে ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস নিচ্ছি।
মুন্সীগঞ্জ বাজারে সবজী ক্রেতা সাধন মন্ডল বলেন, সবজীর দাম বেড়েছে, ফলে সেই টাকায় অগের চেয়ে অর্ধেক সবজী কিনছি। সংসার চালানো অনেক কষ্ট হয়ে গেছে।
একজন কাপড় ক্রেতা বলেন, কাপড়ের মূল্যে এতই বেড়েছে যে, কিনতে না পেরে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছি। নওয়াবেকী বাজারের মুদি দোকানী শফি বলেন, পূর্বে যে খরিদার এক কেজি মাল কিনতো সে এখন ৫০০ গ্রামও নিতে পারছেনা। ফলে আমাদের দোকান লাটে উঠছে।
শ্যামনগরের গাজী হোটেলে দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য আসা দাতীনাখালী কলবাড়ী গ্রামের আনিস বলেন, আগে ছোট মাছ দিয়ে এই হোটেলে ভাত খেতাম এখন সেই দামে সবজী দিয়ে খেতে হচ্ছে।
শ্যামনগরের হোটেল ব্যবসায়ী অজিজ বলেন, মালামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরাও খাদ্যর দাম বাড়িয়েছি। ফলে খরিদদার কমে গেছে। কিভাবে দোকান ভাড়া দেব, কি ভাবে বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন দেব তা নিয়ে মহা চিন্তায় আছি।