বাঘারপাড়া প্রতিনিধি: একই রাতে একটি মাঠ থেকে পাশাপাশি সাতটি স্যালোমেশিন চুরি হয়েছে। বোরো ধানের সেচ কাজে ব্যবহৃত এ স্যালোমেশিন চুরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। শতাধিক বিঘা বোরো ধান চাষ অনিশ্চিত। বৃহস্পতিবার রাতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার করিমপুরের দক্ষিণ মাঠে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, করিমপুরের দক্ষিণ মাঠে বোরো ধানে সেচ কাজে বেশিরভাগ ব্যবহৃত হয় ডিজেল চালিত স্যালোইঞ্জিন। এ মাঠে ২৫/৩০টি স্যালোইঞ্জিন রয়েছে। বেশিরভাগ কৃষক দিনের বেলায় সেচ কাজ সম্পাদন করেন। রাতে তেমন পাহারার ব্যবস্থা নেই। বিস্তর ফাঁকা এ মাঠটি যশোর-নড়াইল মহাসড়কের পাশে। অনেক দূর থেকেই সব কিছু দেখা যায়। একারণে কৃষক মাঠে স্যালোইঞ্জিন রেখে বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমান। বিগত কয়েক বছরে তেমন কোন চুরির ঘটনাও ঘটেনি।
করিমপুর গ্রামের জয়নুল আবেদিনের ছেলে আবুল কাশেম চলতি বোরো মৌসুমে তার ডিজেল চালিত স্যালোইঞ্জিনে এবার ১৮ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। তার জমির অধিকাংশ ধানের শীষ বের হয়েছে। হয়তো আর বিশ দিন সেচ দিলেই ধান কাটার উপযোগী হতো। একবারেই শেষ সময়ে তার ইঞ্জিনটি চুরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। আজ কালের মধ্যে আরেকটি ইঞ্জিন সেচ পাম্পে না স্থাপন করতে পারলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
একই গ্রামের আবু বক্কার মোল্যার ছেলে এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, তার সেচ পাম্পে এবার ২০ বিঘা চাষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি জমিতে সেচ দিয়েছেন। পরদিন (শুক্রবার) সকালে তিনি মাঠে যেয়ে দেখেন তার পাম্পে ইঞ্জিন নেই। বিষয়টি জানাজানি হলে সব পাম্প মালিক মাঠে হাজির হন। এ সময় সাতটি ইঞ্জিন চুরির বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হন। চুরি হওয়া অন্য পাঁচটি ইঞ্জিনের মালিক হচ্ছেন একই গ্রামের মশিয়ার, তুরফান, ফসিয়ার, ইলিয়াস ও টিটো।
ফসিয়ার জানান, তার ইঞ্জিনটির মূল্য ২২ হাজার টাকা। এই মুহূর্তে তিনি কিভাবে টাকা জোগাড় করে ইঞ্জিন কিনবেন সে চিন্তাই তার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুদে টাকা নিতে হলেও তার ইঞ্জিন কিনতেই হবে। তা না হলে জমির সব ধানই নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, চুরির ঘটনাটি জানতে পেরেছি। তবে লিখিত কোন অভিযোগ হাতে পায়নি। তবে আমারা এ বিষয়ে কাজ করছি।