দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
খুলনা-কুষ্টিয়া ও সাতক্ষিরা রুটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব সড়কে বাস, মাইক্রেবাস ও প্রাইভেটকার চলাচল শুরু হয়েছে। বিএনপি ও জামাতের ডাকা দুইদিনের তৃতীয় পর্যায়ের হরতালের প্রথমদিন বুধবার সামান্য কিছু যানবাহন চললেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা পুরোদমে চলাচল শুরু করে। আর এতে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে যাত্রীসাধারণ ও যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রূপসা পরিবহনে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন সাতক্ষীরা’র ব্যবসায়ী রবীন বোস। তিনি জানান, ঘনঘন হরতাল আর অবরোধ শুরু করায় এরআগে ব্যবসায়ের কাজে যেতে না পারলেও বৃহস্পতিবার ঠিকই রওনা দিয়েছেন। কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের বাসে যশোরের নওয়াপাড়া থেকে খুলনা যাবার পথে বিশ^বিদ্যালয়র শিক্ষার্থী রথিন্দ্র সাহা ও রোকসানা আক্তার জানান, দেশের বা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করেই যখন-তখন হরতার আর অবরোধ ডেকে তাদের সর্বনাশ বন্ধ করা না গেলে বিপর্যয় দেখা দেবে। এতে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থদন্ড দিতে হয় বলে জানালেন ওই দুই শিক্ষার্থী।
খুলনা-কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারি রুপসা পরিবহনের ব্যানারে পরিচালিত দীপ্ত ডিলাক্স পরিবহনের সুপারভাইজার বাপ্পিদাস জানান, বুধবার গাড়ি চালাতে না পারায় তার মত অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকের চুলোয় হাড়ি চড়েনি ঠিকমত। তাই বাসের মালিককে রাজি করিয়ে গাড়ি নিয়ে কুষ্টিয়ার পথে চলেছেন। পথে বাঁধা এলে তারা তিন শ্রমিক মিলে প্রতিবাদ করবেন, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে গাড়ি রক্ষা করবেন।
দীপ্ত ডিলাক্স পরিবহনের মালিক খুলনার দীনবন্ধু পালের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশটাকে দ্রুত উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, ভোটকে সামনে রেখে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের সহায়তাকারি জামায়াত ইসলামি দেশের মানুষকে জিম্মি করে হরতাল আর অবরোধ দিয়েই চলেছে। তাই তারা শত অবরোধ-হরতালেও গাড়ি বন্ধ না রাখার সংকল্প করেছেন। প্রয়োজনে মালিকপক্ষও সাধারন মানুষকে সংঘবদ্ধ করে পাল্টা প্রতিরোধের ডাক দেবে বলে মনে করেন ওই পরিবহন মালিক।