নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোরে পৃথক পৃথক ঝটিকা মিছিল করেছে। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে দেখা যায়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের। এদিনও তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অবরোধকারীরা ঝটিকা মিছিলে নিজেদের কর্মসূচি পালন করলেও সকাল থেকে সতর্ক অবস্থানে লক্ষ করা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকে শহর ও শহরতলীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসময় বিএনপির জামায়াতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবরোধ বিরোধী অবস্থান নেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। এর আগে শহরে বিএনপি জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল করে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারীরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু। চৌরাস্তা থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয় দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ। এছাড়া অবরোধের দ্বিতীয় দিনে যুবলীগ নেতা কেরামত আলীর নেতৃত্বে যশোর-মাগুরা সড়কে অবরোধ বিরোধী মিছিল বের করা হয়। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও যশোরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোটরসাইকেল নিয়ে সারাদিন টহল দিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
সাধারণ মানুষের জীবন ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই তৎপরতায় ছিলেন। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদের নির্দেশে দ্বিতীয় দিনের মতো সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে এই টহল দেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। টহল দেয়ার পাশাপাশি যুবলীগের নেতাকর্মীরা বড় বড় বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ মিছিল বের করেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুলের নেতৃত্বে এই তৎপরতা সন্ধ্যার পর শেষ হয়। এছাড়া যশোর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে যুবমহিলা লীগের সমাবেশে বক্তব্য শেষে মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী। সদরের চাঁচড়ায় মিছিল করেন জেলা শ্রমিক লীগের শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা পান্নু। এছাড়া যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির নির্দেশে যশোর শহরের নিউ মার্কেট, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, সদরের লেবুতলা এলাকায় ও বাহাদুরপুর এলাকায় অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নেতৃত্ব দেন যুবলীগনেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা কয়েকজন নেতাকর্মী মিলে ভোরবেলা ফাঁকা মাঠে ঝটিকা মিছিল করছে। তাদের আন্দোলন প্রাতঃভ্রমণে সীমাব্ধ রয়েছে। তাদের আন্দোলনকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তিনি বলেন, জামায়াত বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে। কেউ যদি কোন বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জবাব দিবে।
