নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে অবৈধ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা সংরক্ষণের অপরাধে মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রয়কারী মফিজুর রহমান কে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রায় দুই মণ অবৈধ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের চাচড়া পূর্বপাড়া এলাকায় র্যাব ৬ যশোর ও উপজেলা মৎস্য অফিসারের সম্বনয়ে ভ্রমাম্যণ আদালত পরিলাচনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ দাস। এসময় তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কারণ এই মাছ চাষের ফলে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। কোন ভাবে যদি পুকুর বা অবরুদ্ধ জলাশয় থেকে এই মাছ নদীতে বা মুক্ত জলাশয়ে চলে আসে তাহলে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য মহা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
আরও পড়ুন:কাগজের তৈরি কলম ব্যবহার শেষে মাটি পেলে গাছ হবে!
তিনি আরও জানান, পোনা উৎপাদন ও বিক্রয়কারী মফিজুর রহমানের হ্যাচারিতে অবৈধ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা সংরক্ষণ করার অপরাধে তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে র্যাব ৬ যশোরের কোম্পানী কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি শহরের চাচড়া এলাকায় একজন অসাধু মাছের পোনা উৎপাদনকারী বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা উৎপাদনের আড়ালে অবৈধ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা উৎপাদন করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালালে অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরবর্তীতে ভ্রামাম্যণ আদালতের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত প্রায় ২মণ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা ধ্বংস করা হয়। এবং পোণা উৎপাদনকারী মফিজুর রহমান কে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অয়াসধু ব্যবসায়দের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, ছোট আকারের আফ্রিকান মাগুর মাছ, দেশি মাগুর মাছের মতো দেখতে হওয়ায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এর পোনা উৎপাদন ও বিক্রয় করা আসছে। দামে কম হওয়ায় সেইসঙ্গে অন্য মাছের নামে বিক্রি করায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। মূলত এই মাছ খেলে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই তবে পরিবেশগত ঝুঁকি রয়েছে অনেক।
আরও পড়ুন:বঙ্গবাজারের আগুনের তাপ যশোরের ঈদ বাজারে
