অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক সুলতান আহম্মেদকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দৈনিক কল্যাণে বুধবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার অনিয়মের ব্যাপারে মঙ্গলবার যশোরের সিভিল সার্জনের বক্তব্য নেয়া হলে ওই দিনই তাকে বদলির আদেশ দেন তিনি। তাকে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং মণিরামপুর উপজেলার ইকলাজ হোসেনকে অভয়নগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাকে নুতন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক সুলতান আহম্মেদ দীর্ঘ ১২ বছর আগে এই কর্মস্থলে যোগদান করেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। চালক সুলতান আহম্মেদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা, অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও জ্বালানী খরচের ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন:অভয়নগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নওয়াপাড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিকেল বা ক্লিনিকে গেলে ৭২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ থাকলেও চালক সুলতানকে ১৫০০ টাকা না দিলে কোনভাবে সে যেতে চায়না। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া খাটিয়ে চলেছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শংকরপাশা গ্রামের আব্দুল্লা আল মামুন তার জরুরি প্রসূতি স্ত্রীকে খুলনা মেডিকেলে যাওয়ার কথা বললে সুলতান ড্রাইভার ১৭০০ টাকা দাবি করে। কেন এত টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে সে যাবেনা বলে জানিয়ে দেন। সুলতান পরে ২ হাজার টাকা ভাড়ায় একজন সাধারণ রোগীকে বাড়ি থেকে খুলনায় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়।
পরে আব্দুল্লা আল মামুন ভাড়ায় চালিত মালিকানা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা করে জনায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে। এ সংবাদ বুধবার দৈনিক কল্যাণে প্রকাশিত হয়।
যশোর জেলার সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, অভয়নগর উপজেলার অ্যাম্বুলেন্স চালক সুলতান আহম্মেদকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে এ বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ভাড়া বেশি পেয়ে জরুরি প্রসূতি রোগী ফেলে ভাড়ায় গেল অ্যাম্বুলেন্স চালক
