অভয়নগর(যশোর) প্রতিনিধি: ‘আমার বাবার দুই পকেটভরা টাকা ছিল। তোরা টাকা নিবি নিয়ে যা, বাবার প্রাণটা নিয়ে গেলি কেন?’ কথাগুলো তার মায়ের কোলে বসে বলছিলো নিহত নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারের ছোট ছেলে হিরন্ময় সরকার।
ঘরের বারান্দায় বসে অঝোরে কাঁদছিলেন উত্তম সরকারের মা শেফালী সরকার (৫৭) এবং স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার (৩২)।
এসময় কাঁদতে কাঁদতে মা শেফালী সরকার বলছিলেন,আমার বাবার কোনো শত্রু ছিল না। নির্বাচনে জেতায় তার কাল হয়েছে।
স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার বলছিলেন,কী কারণে উত্তমকে হত্যা করা হয়েছে জানিনে । ওরতো কোনো শত্রু ছিল না। ওর পকেটে ৩০ হাজার টাকা ছিল। হত্যাকারীরা সেই টাকা নেয়নি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য উত্তম সরকারকে (৩৮) গুলি করে হত্যার কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত এখনও পর্যন্ত কাউকেও পুলিশ গ্রেফতাার করতে পারেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
তবে পুলিশ সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিককে থানায় রেখে জিজ্ঞাবাস করছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অর্ধেন্দু উত্তম সরকারের একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন। চতুর্থ ধাপে গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলার সুন্দলী ইউপি নির্বাচনে তিনি অর্ধেন্দুকে ৬১ ভোটে পরাজিত করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উত্তম সরকারকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক একেএম শামীম হাসান বলেন, এখনও পর্যন্ত হত্যার কারণ উদঘাটন করা যায়নি। তবে গত ইউপি নির্বাচন এবং আরো একটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।