নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রুপ পর্ব শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান। বাইলজ অনুযায়ী গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও মুক্তিযোদ্ধা মঈন স্মৃতি সংসদ। তবে বুধবার সরকারি নওয়াপাড়া কলেজ মাঠে গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইও অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। সাত মাস বিরতির পর অনুষ্ঠিত যশোর বঙ্গবন্ধু প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের দ্বিতীয় প্লে অফ ম্যাচ গোল শূন্য ভাবে শেষ হয়েছে। শ্রেষ্ঠত্বেও লড়াইয়ে দল দুটি একই মাঠে শুক্রবার আবার মুখোমুখি হবে।
গতবছরের তিন অক্টোবর প্রথম প্লে অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বৃষ্টিতে খেলার মাঠ অনুপযোগী, প্রধানমন্ত্রীর যশোর আগমনে মাঠ সংকটে খেলা আর গড়ানো সম্ভাব হয়নি।
এ ম্যাচে দু’দলের খেলোয়াড়রা রক্ষণভাগ ও মধ্যমাঠে যে ছন্দে ফুটবল খেলেছে সে ছন্দ দেখা যায়নি আক্রমণভাগে। খেলার দুই মিনিটে ডানপ্রান্তের ডি বক্সের প্রায় ১৫ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পায় মঈন স্মৃতি। আক্তার বাবুর নেওয়া ফ্রি কিক থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়। হেড দিয়েছিলেন পলাশ। কিছুটা দুর্বল হেড প্রতিহত করেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রানা।
১২ মিনিটে গোলের একেবারে সহজ সুযোগ পেয়েও মঈনের পলাশ হাতছাড়া করেন। সামনে ছিলেন একমাত্র গোলরক্ষক। তাড়াহুড়া করে যে শট নেন তা আবাহনীর গোলরক্ষক সুমন বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে রক্ষা করেন।
২২ মিনিটে কিছুটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল আবাহনী। ডান প্রান্তে থেকে গড়ে ওঠা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে বাদল যে শট নেন তা গোলরক্ষকে কোন বিপদে ফেলতে পারেনি।
৩৬ মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ গড়ে মঈন স্মৃতি। রক্ষণভাগের তিন ডিফেন্ডারকে কিছুটা বোকা বানিয়ে যে শট নেন তা ক্রসবার উচিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। এ অর্ধে আর কোন উল্লেখযোগ্য আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি দু’দলের খেলোয়াড়রা। গোল শূণ্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পর আবাহনী বেশ সুযোগ সৃষ্টি করে। তবে মঈনের গোলরক্ষক দৃঢ়তা তা থেকে গোল আদায় করতে পারেনি আবাহনী খেলোয়াড়রা। তাই গোল শূণ্য ভাবেই শেষ হয়।
এদিকে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৫ তারিখের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০মে। এর আগে ১৭ ও ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে লিগের দুই সেমিফাইনাল।
