নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলার দুই আসামিকে কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছেন পৃথক দু’টি আদালত। বৃহস্পতিবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়ার জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস পৃথক রায়ে এই আদেশ দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, অস্ত্র মামলায় যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এবং মাদক মামলায় শার্শা উপজেলার সোনাদীয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইমাদুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পিপি শ্যামল কুমার মজুমদার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ভোর রাত ৪টার দিকে কোতোয়ালি থানার এসআই সোয়েব উদ্দিন শহরের প্রানকেন্দ্র দড়াটানা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে। সে সময় তার সাথে থাকা আরেকজন পালিয়ে যায়। এরপরে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভালবার ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এসআই সোয়েব আটক জাহাঙ্গীর ও ঘোপ বাবলাতলার এলাকার নবাব আলীর ছেলে সোহাগ ওরফে জেলে সোহাগকে পলাতক আসামি দিয়ে মামলা করেন। এসআই কবির হোসেন তদন্ত শেষে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আসামি জাহাঙ্গীরকে পৃথক দুইটি ধারায় একটি ১০ বছর ও অপরটিতে আরও সাত বছরের কারাদ-ের আদেশ দেন। একই সাথে এই মামলা থেকে আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন।
এছাড়া, ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শার্শার গোড়পাড়া ক্যাম্প এলাকা থেকে থানা পুলিশের হাতে আটক হয় ইমাদুল ইসলাম। এসময় তার কাছ থেকে ১শ’ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় এসআই বাবুল আক্তার বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আসামি ইমাদুলকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দুই আসামির উপস্থিতিতেই এ সাজা প্রদান করে আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক।