দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
‘১২ বছরে ১২৯টি খুন, অসংখ্য সামাজিক সংঘর্ষ, লুটপাট, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে বিদিত ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। শিক্ষা, চাকরি এবং কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ আবদান রাখা উপজেলার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ফসল সংরক্ষণ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করাই হবে আমার ব্রত’। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকে ঝিনাইদহ-১ আসন (শৈলকুপা) থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে দুলাল এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ বিশ্বাস বিল্ডার্স-র পরিচালক দুলাল তার গ্রামের বাড়ি শৈলকুপার কৃপালপুরে এই প্রতিবেদককে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, রাজনীতির নামে প্রায় দুই দশক ধরে এ এলাকায় যে অপরাজনীতি চলছে তা শুধু অরাজক অবস্থা । এটি নেতৃস্থানীয় পর্যায় থেকে উসকে দেয়ার ফলে খুন-খারাবি, তুচ্ছ ঘটনায় লুটপাট, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা প্রভাবশালীদের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি আর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের দিনরাতের বিশ্রাম-ঘুম সব কেড়ে নিয়েছে।
একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতার প্রশ্রয়ে কিছু সংবাদপত্রও যখন-তখন যার তার সম্মানহানিকর খবর প্রকাশ করছে। সাংবাদিকদের একটি অংশ সাংবাদিকতার নীতিমালা ভেঙে এক্রশ্রেণির নেতার কথায় একপেশে সংবাদ প্রকাশ করছেন। এসব কথিত সাংবাদিকের হাত থেকে ঝিনাইদহবাসির পরিত্রাণ পেতে হবে। সংসদীয় এলাকা অর্থাৎ শৈলকুপা উপজেলার উন্নয়ন বিষয়ে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি নজরুল ইসলাম বিশ্বাস দুলাল জানালেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোঁয়ায় সারাদেশের রাস্তঘাটসহ সবক্ষেত্রে যখন উন্নয়নের ঢেউয়ে ভাসছে, ঠিক তখনি শৈলকুপার রাস্তাঘাটে হোচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে আপামর জনতা, যাত্রীসাধারন। যানবাহনে তো দূরের কথা, হেঁটেও ওইসব রাস্তায় পার হওয়া যায়না। বিগত ১৮ বছরে ১৮ কিলোমিটার ভালোমানের রাস্তার দেখাও পায়নি এ উপজেলার মানুষ, যা অবিশ্বাস্য সত্যি। বিশেষ একজন মানুষের চরিত্র শুধ্রে গেলেই গোটা উপজেলা বা সংসদীয় এলাকার মানুষের জীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরে আসবে, মানুষের মুখে হাসি ফুটবে বলে তিনি মনে করেন।
এ মুহর্তের নিবাচনের পরিবেশ সম্পর্কে নজরুল ইসলাম বিশ্বাস দুলাল বলেন, নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করছে বিধায় মানুষ অবাধে ভোট দিয়ে তাদের কাঙ্খিত প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন এবং তারা বারবার একই ভুল করবেন না। তিনি নির্বাচিত হলে আসছে ৫ বছরের মধ্যেই সব স্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে শৈলকুপাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আধুনিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সব সরঞ্জাম এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিযুক্ত করে এলাকার মানুসকে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ দেবেন যাতে গ্রামে বসেই রোগিরা শহরের সর্বোত্তম সেবা পেতে পারেন।