কল্যাণ ডেস্ক
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের আইনজীবীর ভাড়া বাসা থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই আইনজীবীর সঙ্গে নিহত তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনের গলির ভেতর প্রেমিকের ভাড়া বাসা থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমন পলাতক রয়েছেন।
নিহত তরুণীর বাড়ি শহরের মোল্লাতেঘড়িয়ার মোল্লা পাড়ায়। তিনি কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ওই তরুণীকে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে নিহত ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক সপ্তাহ আগে অন্য এক মেয়েকে ওই আইনজীবী বিয়ে করেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে জিলা স্কুলের সামনের গলির ভেতর সুমনের ভাড়া বাসার তিন তলার ফ্লাটে এসে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের (৯৯৯) ফোন কল পেয়ে মফিজ উদ্দীন লেনের গোলাম নবীর বাড়িতে যান। সেখানে তিনতলার ভাড়াটে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমনের ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় ওই তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার করে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের মা। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
নিহতের বড় বোন বলেন, আমার বোন সকাল সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে ক্লাস করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করেই সুমন আমার স্বামীকে ফোন করে জানান সে আত্মহত্যা করেছে। সুমন বোনকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে সুমনের বাসায় গিয়ে দেখি একটি ভ্যানের ওপর বোনের মরদেহ। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালের নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় সুমনের কাছে প্রাইভেট পড়তো আমার বোন। তাদের দু’জনের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্কের কথা আমাদের জানা নেই। তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের বড় বোন।
ভবনের মালিক গোলাম নবী বলেন, চলতি মাসে ওই আইনজীবী বাসা ভাড়া নেন। গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) তিনি বিয়ে করেছেন। স্ত্রী নিয়ে বাসায় থাকেন। ঘটনার সময় বাসায় ওই আইনজীবী ও তার স্ত্রী ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে জানতে পারেন, ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি কিছু জানেন না বলে জানান ওই ভবন মালিক।