নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত ৬৫ জন কর্মচারী গত ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সরকারের কাছ থেকে বিল তুলে নিলেও কর্মচারীদের দিচ্ছে না। সামনে ঈদ, এখনও বেতন ভাতা না পাওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যদিও কলেজের অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে সামনে সপ্তাহের মধ্যে বেতন দিতে রাজি হয়েছেন ঠিকাদার বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
কলেজ সূত্র মতে, গত ৪ বছর আগে সরকার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যশোর মেডিকেল কলেজে ৬৫ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ করে। যার ঠিকাদারের দায়িত্বে রয়েছে ফিরোজ আলম। তিনি গত ৫ মাস ধরে ঠিকাদার ওই ৬৫ জন কর্মচারীকে বেতন দিচ্ছেন না।
একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কলেজে কাজ করলেও গত ৫ মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। এত পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন। আর মাত্র কয়েকদিন পর ঈদ, ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দেয়া হলেও তিনি আমলে নিচ্ছেন না। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানালে তিনি বুধবার ঠিকাদার ফিরোজ আহমদকে বকাঝকা করেছেন। পরে তিনি সামনের সপ্তাহে বেতন দিকে রাজি হয়েছেন। কর্মচারীরা জানান, ঠিকাদার ৫ মাসের বেতন না দিলেও সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা কলেজ থেকে তুলে নিয়েছেন। এই খবর জানাজানি হলে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজের হিসাব রক্ষক জয়নাল হাসেন জানান, ঠিকাদার কয়েক মাসের টাকা তুলে নিলেও আরও কিছু টাকা তিনি আমাদের কাছে পাবেন। এটা সরকারের বরাদ্দ সাপেক্ষে ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়।
যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম জানান, আমি বিষয়টি জানার পর ঠিকাদারকে কর্মচারীদের বেতন দিতে বলেছি। যদি না দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। পরে তিনি সামনের সপ্তাহে ৩ মাসের বেতন দিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এব্যাপারে ঠিকাদার ফিরোজ আলমকে বারবার ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
