নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আগামীতে ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন। ইসলামের শাসনে দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি। দেশবাসী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির চেহারা দেখেছে। এদেরকে আর দেখতে চায় না। শান্তি, স্বস্তি ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী আদর্শের রাষ্ট্র গঠনের বিকল্প নেই। তাই আগামীদিনে ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে কাউকে ক্ষমতায় সুযোগ নেই’। শুক্রবার বিকালে যশোর ঈদগাহ মাঠে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ছাত্র জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বর্বর ইসরাইলী গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন ফিলিস্তানী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনসভার আয়োজন করা হয়।
জনসভায় সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ‘ইসলামী আদর্শ শক্তিশালী না হলে জাতির কল্যাণ আসবে না। ন্যায়ের, কল্যাণের ও মানবতার ভীত শক্তিশালী হবে না। ইসলামী দল ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল দেশবাসীকে কল্যাণ দিতে পারবে না। ১৯৯৭ সালে ইসলামী আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার পর থেকে একজনও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে সংসদে যেতে পারেনি। সবাই বোকা পেয়ে ধোকা দিয়েছে। ক্ষমতায় যেয়ে নিজের আখের গুছিয়েছে। দেশের কল্যাণ নিয়ে কেউ চিন্তা করেনি। দেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বেগমপাড়া গড়েছে। রাজনীতির নামে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই আগস্টের আন্দোলনে তৎকালীন সরকার গুলি করে পাখির মত মানুষ হত্যা করেছে। ইসলামী আন্দোলন প্রকাশ্যে তার প্রতিবাদ করা শুরু করে। ঢাকার রাজপথে ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে তীব্রভাবে সরকারকে প্রতিবাদ জানানো হয়।
যশোর জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফেজ আব্দুল আওয়াল, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফারুক আহমাদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর ইসলাম নুরুল, অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা ও ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট বায়োজিদ হুসাইন। জনসভা শেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেন।