নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে যৌতুক মামলার তদন্ত রিপোর্ট প্রদানে কালক্ষেপণ করে আদালতের আদেশ অমান্য করায় লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামানন মিলনকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এই সাজা ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ মে আসামি সবুজ হোসেন দেড় লাখ টাকা দেনমোহরধার্য্যে বৃষ্টি খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে বৃষ্টির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল সবুজ। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বৃষ্টির পিতা পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেন জামাই সবুজকে। তারপর আবারও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য বৃষ্টিকে মারপিট করে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল একবস্ত্রে তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনায় একই বছরের ২৮ আগস্ট বৃষ্টি খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামী সবুজ, শ্বশুর অমেদ আলী ও শাশুড়ি সালেহা বেগমের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। তৎকালীন বিচারক মামলাটি গ্রহণের পর তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য লেবতুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তদন্ত পরবর্তী ধার্য্য তারিখের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেননি এবং তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ার জন্য সময়ের আবেদনও করেননি।
২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দেয়ার আদেশ দেন বিচারক। ২ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ব্যাখ্যা চেয়ে আবারও আদেশ দেয়া হয়। ১৯ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। মামলার ধার্য্য দিন ৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন। বারবার সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সময়ের প্রার্থনা অথবা প্রতিবেদন জমা না দিয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করায় বিচারক এক আদেশে চেয়ারম্যানকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন।